
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ভারতে কোভিডে মৃতের সংখ্যা সরকারি ভাবে ছিল ৯৯০০। কিন্তু তা রাতারাতি প্রায় ১৯০০ বেড়ে গিয়েছে। আজ বুধবার এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক কোভিড-বুলেটিন প্রকাশ করেনি। কিন্তু সূত্রের খবর, সকাল ৯ টা নাগাদ যে বুলেটিন প্রকাশ হতে চলেছে তাতে গতকালের তুলনায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ১৯০০ বেশি দেখানো হবে।
এর কারণ কী? তা হলে কি মঙ্গলবার ভারতে কোভিডে রেকর্ড মৃত্যু হয়েছে?
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্র জানাচ্ছে, না তা নয়। দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে প্রকৃতপক্ষে কতজনের কোভিডে মৃত্যু হয়েছে সেই সংখ্যার হিসাবে ভ্রান্তি ছিল। দুই রাজ্যই তা শুধরেছে। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, রাজ্যে আরও ১৪০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার মারা গিয়েছেন ৮১ জন। সেই সঙ্গে গত কয়েক দিনে ১৩২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিডে। কিন্তু সেই সব মৃত্যু সরকারি ভাবে রিপোর্ট হয়নি।
একই ভাবে দিল্লিতেও হিসাবে গলদ ছিল। এমনিতেই দিল্লিতে কোভিডে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার গরমিল নিয়ে কেজরিওয়াল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছেই। সূত্রের খবর, দিল্লিতেও প্রায় চারশ জনের কোভিডে মৃত্যুর তথ্য সরকারি রিপোর্টে ছিল না। এই দুই রাজ্যের হিসাব মেলাতে গিয়েই দেশে কোভিডে মৃতের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। দিল্লিতে মঙ্গলবার নতুন আরও ১৮৫০ জনের শরীরে কোভিড পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯১। তার মধ্যে ৯৯০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ মৃত্যুর হার ২.৮ শতাংশ। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভারতে প্রকৃতপক্ষে কোভিডে মৃত্যুর হার এর থেকেও কম। কারণ, টেস্টের সংখ্যা উন্নত দেশগুলির তুলনায় কম। ফলে অনেকেই রয়েছেন যাঁদের দেহে কোভিডের সংক্রমণ রয়েছে কিন্তু টেস্ট হয়নি। সেই সংখ্যা কম নয়। তা হিসাবের মধ্যে ধরলে হয়তো দেখা যাবে মৃত্যুর হার কমবেশি ১ শতাংশ।
আজ বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন প্রকাশ হওয়ার কথা। তখনই স্পষ্ট করে জানা যাবে গত চব্বিশ ঘন্টায় কোভিডে আক্রান্ত, মৃত ও সুস্থ হয়ে ওঠার প্রকৃত পরিসংখ্যান কী।