
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত সপ্তাহ পর্যন্ত ভারতের ক্রমাগত নামছিল দৈনিক সংক্রমণ। তার থেকে অনেকটাই বেশি হচ্ছিল দৈনিক সুস্থতা। তার ফলে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমছিল। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে সেই ছবিতে বদল এসেছে। ভারতের পাঁচ রাজ্যে ফের করোনা গ্রাফ বাড়ছে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র। এই রাজ্যগুলি হল মহারাষ্ট্র, কেরল, পাঞ্জাব, ছত্তীসগড় ও মধ্যপ্রদেশ। যাতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তাই এই রাজ্যগুলিকে কড়া সুরক্ষাবিধি পালন করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। আজ দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি দৈনিক আক্রান্ত এই রাজ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১১২ জন নতুন করে সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন।”
কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, “মহারাষ্ট্রের মতোই পাঞ্জাবেও হঠাৎ করে গত সাতদিন ধরে দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৩৮৩ জন নতুন আক্রান্ত হয়েছেন। একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে কেরল, ছত্তীসগড় ও মধ্যপ্রদেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় মধ্যপ্রদেশে নতুন আক্রান্ত ২৯৭। অন্যদিকে ছত্তীসগড়ে নতুন করে ২৫৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।”
এই অবস্থায় এই রাজ্যের প্রশাসনকে কড়া হাতে সুরক্ষা বিধি পালন করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। করোনার চেনকে ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই যেখানে যেখানে সংক্রমণ বাড়ছে সেখানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া ও তার সঙ্গে টিকাকরণ কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বা বিএমসি-র কমিশনার ইকবাল সিং চাহাল একটি নির্দেশিকায় জানিয়েছেন বিয়েবাড়ি ও জমায়েত নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। বিএমসি জানিয়েছে, লোকাল ট্রেনে ৩০০ মার্শাল নিযুক্ত করা হয়েছে। কোনও যাত্রী মাস্ক ছাড়া যাত্রা করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার যাত্রী ধরা পড়তে পারে বলেই ধারণা।
এছাড়া বিয়েবাড়ি, ক্লাব, রেস্তোরাঁ প্রভৃতি জায়গায় ঠিকভাবে কোভিড বিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও বিল্ডিংয়ে ৫ জনের বেশি কোভিড রোগী থাকলে সেই বিল্ডিং সিল করে দেওয়া হবে। যারা এই নিয়ম মানবে না তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
রাজ্যের দুটি জেলা অমরাবতী ও ইয়াবতমালে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার পর্যন্ত লকডাউন থাকবে অমরাবতীতে। সেখানে বাজার, সুইমিং পুল, ইনডোর গেম বন্ধ করা হয়েছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পাঁচজনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। ইয়াবতমালে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেস্তোরাঁ ও বিয়ে বাড়িতে ৫০ শতাংশের বেশি উপস্থিতি যাতে না থাকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোথাও পাঁচজনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলেই জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।