
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করা ২১ দিনের লকডাউন শেষ হচ্ছে ১৪ এপ্রিল। এই লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়বে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে লকডাউন উঠলে নিজেদের পরিষেবার ক্ষেত্রে কিছুটা বদল করছে বিমানসংস্থা ইন্ডিগো। বিমানের পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের সিইও রণজয় দত্ত সব কর্মীদের ইমেল করে জানিয়েছেন, “আমরা সবসময় যাত্রীদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখি। আমাদের পরিষেবার ক্ষেত্রেও বারবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাই ঠিক হয়েছে, লকডাউনের পরে পুনরায় পরিষেবা চালু হলে দিনে একাধিকবার বিমানকে স্যানিটাইজ করতে হবে। সেইসঙ্গে এই মুহূর্তে কিছুদিন বিমানের মধ্যে খাবার দেওয়া হবে না। যে বাসে করে বিমানে যাত্রীদের নিয়ে আসা হয়, সেই বাসেও অর্ধেক সংখ্যক যাত্রীকে নিয়ে আসা হবে।”
এছাড়া ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন বা ডিজিসিএ-র তরফেও কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বিমান সংস্থাগুলিকে। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল সামাজিক দূরত্ব। তাই লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেও বিজনেস ও ইকোনমি ক্লাসে তিনটি সিটের ক্ষেত্রে মাঝের সিটে কোনও যাত্রী থাকবে না। তাহলে দু’জন যাত্রীর মধ্যে দূরত্ব বাড়বে।
লকডাউনের ফলে এতদিন বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছে এয়ারলাইন্সগুলি। অনেক টাকার লোকসান হয়েছে তাদের। এই লোকসান মেটাতে লকডাউনের পরে নিজেদের বাড়তি খরচ যতটা সম্ভব কমানো যায় তার চিন্তা করছে তারা। তাই এই মুহূর্তে বিমানে খাবার দেওয়ার পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিগো।
যদি লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ে তাহলে বিমান সংস্থাগুলির উপর তার খুব বড় প্রভাব পড়বে বলে অসামরিক বিমানমন্ত্রী হর্ষদীপ সিং পুরীকে জানিয়েছে ‘ফিকি’। বেশ কিছু বিমানসংস্থা দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। গত সপ্তাহে এয়ার ডেকান পরিষেবা বন্ধ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্মচারীদেরও বেতন ছাড়া ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিগোও সিনিয়র কর্মচারীদের ২৫ শতাংশ করে বেতন কেটে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কা করা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে বিমান পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রায় ২.৫ কোটি কর্মচারীর চাকরি যেতে পারে। তারমধ্যে শুধুমাত্র এশিয়া-প্যাসিফিক সেক্টরেই যেতে পারে ১ কোটি ১০ লক্ষ কর্মচারীর চাকরি।