
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতের সঙ্গে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে দিল্লিতেও। রাজধানীর পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের তরফে বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারকে। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা আগামী দিনে আরও বাড়ানো হচ্ছে।
শুক্রবার প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নতুন করে দিল্লির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। নতুন করে গোটা শহরের সংক্রমণের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। যেমন উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ইতিমধ্যেই কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়িয়ে ২১ থেকে ২৮ করা হয়েছে। এখনও বেশ কিছু অংশে কাজ শুরু হয়নি। নইলে সেখানেও এই জোনের সংখ্যা বাড়বে।
এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২৮০। সেই সংখ্যা নতুন করে আরও অনেকটা বাড়তে পারে বলেই মনে করছে প্রশাসন। এতে আরও কড়াভাবে নজর রাখা যাবে। যাতে সংক্রমণ দ্রুত ছড়াতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা সম্ভব হবে বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর।
এর আগে কেজরিওয়াল সরকার জানিয়েছে, দিল্লির কন্টেইনমেন্ট জোনে থাকা প্রতিটি বাড়ি আগামী ৩০ জুনের মধ্যে স্ক্রিনিং করে দেখা হবে। প্রতিটি বাড়ির বাসিন্দাদের উপসর্গ রয়েছে কিনা তা দেখা হবে। সন্দেহ হলেই নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া কোনও আক্রান্তের উৎস খোঁজার কাজ আরও নিখুঁতভাবে করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
শুধুমাত্র কন্টেইনমেন্ট জোন নয়, দিল্লির প্রতিটি বাড়িতেই এবার স্ক্রিনিং করে দেখা হবে। ৬ জুলাইয়ের মধ্যে তা করা হবে। যাতে কোনও বাসিন্দা স্ক্রিনিং থেকে বাদ না পড়েন, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন পর্যবেক্ষকরা।
দিল্লি সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, “দিল্লিতে বর্তমানে প্রতিদিন ২৫০০-এর বেশি আক্রান্ত ও ৭৫ জনের মতো মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসছে। অন্তত ৪৫ শতাংশ ঘটনা কন্টেইনমেন্ট জোন থেকেই আসছে।”
এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে কড়া পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি অংশের জন্য আলাদা আলাদা টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে কমিশনারদের। এছাড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরশনের আধিকারিকদেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে যে আরোগ্য সেতু অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে, সেই অ্যাপেরও ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর সমস্ত নাগরিকদের এই অ্যাপ ইনস্টল করার নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে অতিরিক্ত পরিমাণে সিসিটিভি বসানো হচ্ছে। এই সিসিটিভির মাধ্যমে বাসিন্দাদের যাতায়াতের উপর নজর দেওয়া হবে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের নির্দেশ মতো র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এই সব কিছুর উপর নজর রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।