
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শিশু ও কমবয়সীদের শরীরে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য অনুমতি চেয়েছিল ভারত বায়োটেক। সেই প্রস্তাব নাকচ করল কেন্দ্রীয় ড্রাগ নিয়ামক সংস্থা।
কেন্দ্রের কাছে আবেদন পেশ করে ভারত বায়োটেক বলেছিল, ৫ থেকে ১২ বছরের শিশু এবং ১২ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সীদের শরীরে কোভ্যাক্সিন টিকার ট্রায়াল করতে তারা ইচ্ছুক। তৃতীয় দফায় শিশু ও কমবয়সীদের শরীরে টিকার ট্রায়ালের অনুমতি না দিলেও প্রস্তাব খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল। সূত্রের খবর, সেই প্রস্তাব একেবারেই খারিজ করে টিকার সুরক্ষা নিয়ে আরও বেশি তথ্য জমা করতে বলা হয়েছে ভারত বায়োটেককে।
সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড টিকার পরে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়ার পরেই প্রশ্ন ওঠে নানা মহলে। টিকার ট্রায়ালের বিস্তারিত তথ্য কোথায়, সে বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। যাবতীয় সংশয়ের মুখে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকার ট্রায়ালের রিপোর্ট সামনে আনে দ্য ল্যানসেট মেডিক্যাল জার্নাল। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়, এই টিকা মানুষের শরীরে একদম সুরক্ষিত। টিকার ডোজে কোনও জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অ্যাডভার্স সাইড এফেক্টসের খবর নেই। টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছিল যে স্বেচ্ছাসেবকদের, তাঁদের শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে।
১৮ বছরের ওপরে এবং ষাটোর্ধ্ব প্রবীণদের শরীরেই টিকার ডোজের ট্রায়াল হয়েছে এতদিন। কমবয়সীদের ওপরে সেভাবে ট্রায়াল হয়নি। গবেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাসে শিশুদেরও সংক্রামিত হচ্ছে। এতদিন জানা গিয়েছিল, শিশুদের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ তেমন প্রভাব নাও ফেলতে পারে। তবে ইদানীং শিশুদেরও সংক্রমণে নানা রোগ হতে দেখা যাচ্ছে। বিশেষত ভাইরাস সংক্রমণে কাওয়াসাকি রোগ হতে দেখা গিয়েছে শিশুদের শরীরে। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়েই শিশুদের শরীরেও টিকার ডোজের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত বায়োটেক। তবে কৃষ্ণা এল্লার সংস্থা জানিয়েছে, টিকার সুরক্ষা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জমা করা হবে খুব তাড়াতাড়ি। যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।