
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতে করোনা সংক্রমণের গতি এখন অনেকটাই কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন জানাচ্ছে, বর্তমানে দৈনিক ৩০ হাজারের আশপাশে আক্রান্ত দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিনই তার থেকে বাড়ছে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা। তার ফলে কমছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। আর তার মাঝেই দেশের অর্থনীতি আগের থেকে অনেকটাই উন্নত হয়েছে, এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বক্তব্য এই অর্থনৈতিক উন্নতি আশা জাগাচ্ছে।
ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) ৯৩ তম বার্ষিক কনভনেশনে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণের মাঝে সরকারের প্রধান লক্ষ্য ছিল মানুষের প্রাণ বাঁচানো এবং সংক্রমণ কীভাবে কমানো যেতে পারে সেই সংক্রান্ত পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করা। এই কাজে তাঁরা অনেকটাই সফল বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী আরও বলেন, ২০২০ সালে ভারত অনেক উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক ভাল হচ্ছে। সুস্থতার হার বাড়া তারই ইঙ্গিত। এই সময়ের মধ্যে ভারতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে এবং তার সুফল ভারতের অর্থনীতির উপরে পড়েছে বলেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “বর্তমানে অর্থনৈতিক উন্নতি আমাদের মধ্যে আশা জাগাচ্ছে। এই কঠিন সময়ের মধ্যে আমরা অনেক কিছু শিখেছি এবং দেশের মানুষের শক্তি আরও বেড়েছে। এর একটা বড় কৃতিত্ব আমাদের কৃষক ও তরুণ প্রজন্মের প্রাপ্য।”
এদিন কৃষকদের উদ্দেশেও বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেন, এই কৃষি আইনের ফলে কৃষকদের রোজগার বাড়বে। কৃষকদের সামনে নতুন বাজার খুলে যাবে, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি বাড়বে। আর তার সুবিধা কৃষকরা পাবেন বলে জানিয়েছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন একটি সেক্টরে উন্নতি হয় তখন তার প্রভাব অন্য অনেক সেক্টরের উপর পড়ে। কিন্তু ভাবুন যখন বিভিন্ন শিল্পের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় দেওয়াল খাড়া হয় তখন কী হয়। তখন কোনও শিল্পেরই নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী উন্নতি হতে পারে না।”
এই বক্তব্যের পরেই বিতর্কিত কৃষি আইনের দিকে নজর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কৃষি ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য সেক্টর যেমন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, স্টোরেজ, কোল্ড চেইনের মধ্যে একটা অপ্রয়োজনীয় দেওয়াল খাড়া হয়েছিল। কিন্তু এখন এই দেওয়াল সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে কৃষকদের সামনে নতুন বাজার তৈরি হবে। নতুন বিনিয়োগ আসবে। অনেক উন্নত প্রযুক্তি আসবে। আর তার ফলে আমার দেশের কৃষকরা সবথেকে বেশি লাভবান হবেন। তাঁদের রোজগার অনেক বাড়বে।”