
রানা কাপুরকে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর বিক্রি করা ২ কোটির ছবি বাজেয়াপ্ত ইডির
ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুরের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরে তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে একটি নির্মাণ সংস্থাকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার বদলে ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই কারণেই রানা কাপুরের বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতির মামলা দায়ের করে ইডি।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রবিবারই ইয়েস ব্যাঙ্কের ভরাডুবির সঙ্গে গান্ধী পরিবারের নাম জড়িয়ে পড়েছিল। শোনা গিয়েছিল ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুরকে ২ কোটি টাকা দিয়ে একটি ছবি বিক্রি করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। সেই ছবি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ( ইডি )।
ইডি সূত্রে খবর, ২০১০ সালে রানা কাপুরকে ছবিটি ২ কোটি টাকা দিয়ে বিক্রি করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। ছবিটি এঁকেছিলেন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী মকবুল ফিদা হুসেইন। সেই ছবিটি ছিল প্রিয়ঙ্কার বাবা তথা ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সংগ্রহে। সেটিই বিক্রি করেন প্রিয়ঙ্কা। সেই ছবিই এবার বাজেয়াপ্ত করলেন ইডি আধিকারিকরা।
এই ছবি বিক্রি নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। তারা অভিযোগ করে, যখন ছবিটি প্রিয়ঙ্কার ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, তখন সেটি বিক্রি করে কী ভাবে টাকা নিতে পারেন তিনি। বিজেপির মুখপাত্র জিভিএল নরসিমা রাও আঙুল তোলেন প্রিয়ঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢড়ার দিকে। তিনি বলেন, এভাবে বেআইনি লেনদেন করে অনেক টাকা কামিয়েছেন রবার্ট বঢড়া। ক্ষমতায় থাকার সময় নিজেদের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এভাবে অনেক বেআইনি লেনদেন করেছেন তাঁরা।
এই অভিযোগের জবাবে কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, ছবিটি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। আর ছবি বিক্রির টাকা নিজের ইনকাম ট্যাক্সেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। তাহলে সমস্যা থাকার কোনও কারণ নেই। বরং এই অভিযোগকে মোদী সরকারের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চাল বলেই উল্লেখ করেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, “ইয়েস ব্যাঙ্কের এই দশা কার জন্য হল? যখন ধীরে ধীরে ইয়েস ব্যাঙ্ক ডুবছিল তখন কি মোদী সরকার ঘুমোচ্ছিল। মোদীজি আসল বিষয়কে অন্যদিকে ঘোরানোর বদলে এই প্রশ্নের উত্তর দিন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে উত্তর দিতে হবে ইয়েস ব্যাঙ্ক ও তার প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে বিজেপির কী সম্পর্ক রয়েছে।”
ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুরের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরে তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে একটি নির্মাণ সংস্থাকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার বদলে ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই কারণেই রানা কাপুরের বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতির মামলা দায়ের করে ইডি। এর পরে রানা কাপুরকে জেরা করার সময়ে তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর যোগাযোগের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।