
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরেই শুরু হয় লকডাউন। বন্ধ করে দেওয়া হয় অন্তর্দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে ধীরে ধীরে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা শুরু না হলেও বন্দে ভারত মিশন ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে কয়েকটি দেশের সঙ্গে পরিষেবা চলছে। অথচ এই লকডাউনের মধ্যেই একাধিক বিমান সংস্থা টিকিট বুক করার কথা বলেছে। সেই কথা শুনে টিকিট বুক করেছেন অনেকে। কিন্তু লকডাউন থাকায় বিমান বাতিল করা হয়েছে। সেইসব বুকিংয়ের পুরো টাকা যাত্রীদের ফেরত দিতে হবে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ২৫ মার্চ থেকে ৩ মে পর্যন্ত বিভিন্ন বিমানসংস্থায় যেসব টিকিট বুক করা হয়েছে, তার টাকা ফেরত দিতে হবে। আর যদি বিমানসংস্থাগুলি টাকা ফেরত দিতে না পারে, তাহলে আগামী বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেই টিকিটের টাকা যাত্রীর নামে জমা রাখতে হবে। অর্থাৎ ওই সময়ের মধ্যে চাইলে ওই টাকা ব্যবহার করে তিনি যাত্রা করতে পারবেন। কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, যদি টাকা যাত্রীর নামে জমা রাখা হয়, তাহলে তিনি চাইলে সেটি অন্য কারও নামেও ট্রান্সফার করতে পারেন। অর্থাৎ ওই টাকা ব্যবহার করে ওই যাত্রীর বদলে তাঁর আত্মীয়, পরিচিত বা বন্ধু-বান্ধব যে কেউ যাত্রা করতে পারবেন।
লকডাউনের মাঝে বিমানে টিকিট বুকিংয়ের টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার ভিত্তিতে কেন্দ্রের মনোভাব জানতে চায় শীর্ষ আদালত। তখনই কেন্দ্রের তরফে এই কথা জানানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, “যাত্রী চাইলে ফেরতের টাকা অন্য কোনও যাত্রীর জন্য ব্যবহার করতেই পারেন। বিমানসংস্থাকে সেই কথা মানতে হবে। এভাবে যাতে একজনের টিকিটের টাকা অন্যজনের জন্য ব্যবহার করা যায়, সেই বন্দোবস্ত করতে হবে বিমানসংস্থাগুলিকে। ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ওই টাকা ব্যবহার করা যাবে।”

ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন বা ডিজিসিএ একটি অ্যাভিডেভিট দিয়ে শীর্ষ আদালতে বলেছে, টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে বিমানসংস্থাগুলিকে। কারণ লকডাউনের মধ্যে বুকিং বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। তাও অনেক সংস্থা বুকিং নিয়েছে। ডিজিসিএ-র নির্দেশ অমান্য করে এই কাজ করা হয়েছে। অসামরিক বিমান মন্ত্রকের তরফেও বারবার টিকিট বুকিং বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। তাও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
টাকা ফেরতের দাবি নিয়ে প্রবাসী লিগাল সেল নামের একটি এনজিও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তারপরেই এই বিষয়ে কেন্দ্রের মনোভাব জানতে চায় দেশের শীর্ষ আদালত। তাতেই কেন্দ্র নিজেদের মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছে।