
দ্য ওয়াল ব্যুরো : দু’দিন আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাক সেনার পুতুল বলে কটাক্ষ করেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বর্তমানে বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর। ফের একবার ইমরানকে কটাক্ষ করলেন তিনি। এ বার পাক প্রধানমন্ত্রীকে জঙ্গিদের রোল মডেল বলে কটাক্ষ করেছেন গম্ভীর।
সোমবার টুইট করে এ কথা জানান প্রাক্তন এই ভারতীয় ওপেনার। তিনি লেখেন, “ক্রীড়া জগতের লোকেদের সবাই রোল মডেল হিসেবে দেখেন। তাঁদের ভালো ব্যবহার, টিম স্পিরিট, চরিত্র দেখে অনুপ্রাণিত হন সবাই। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার বৈঠকে আমরা একজন প্রাক্তন ক্রিকেটারকে বলতে শুনেছি। তিনি জঙ্গিদের রোল মডেল। এখুনি তাঁকে ক্রীড়া জগত থেকে বের করে দেওয়া উচিত।”
Sportspeople are supposed to be role models. Of good behavior. Of Team spirit. Of ethics. Of strength of character. Recently in the UN, we also saw a former sportsperson speak up. As a role model for terrorists. @ImranKhanPTI should be excommunicated from sports community.
— Gautam Gambhir (@GautamGambhir) September 30, 2019
এর আগে শনিবার টুইট করে গম্ভীর বলেন, “প্রত্যেক দেশকে নিজেদের বক্তব্য রাখার জন্য ১৫ মিনিট করে সময় দেওয়া হয়েছিল। এই ১৫ মিনিটেই তাঁদের বক্তব্যের মাধ্যমে তাঁদের বুদ্ধি ও চরিত্রের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। একদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি শান্তি ও উন্নয়নের কথা বললেন। অন্যদিকে পাক সেনার খেলার পুতুল ( পড়ুন ইমরান ) পরমাণু যুদ্ধের কথা বললেন। তিনিই কি সেই ব্যক্তি যিনি কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর কথা বলছিলেন।”
কাশ্মীর প্রশ্নকে সামনে রেখে শুক্রবার তাঁর রাষ্ট্রপুঞ্জের বক্তৃতার মধ্যে দিয়ে ইমরান যেন গোটা বিশ্বের সহানুভূতি কুড়োনোর মরিয়া চেষ্টা করেন। সে জন্য কখনও বলেন, ইসলামিক সন্ত্রাস বলতে কিছু হয় না, সামাজিক অবিচার উগ্রপন্থার জন্ম দেয়। কখনও আবার হুঁশিয়ার করতে চান গোটা বিশ্বকে। বলেন, “ভারতের অ্যাজেন্ডা পরিষ্কার। কাশ্মীরে ওরা যে ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, তাতে উপত্যকার কোনও যুবক ফের পুলওয়ামার মতো ঘটনা ঘটাতে পারে। তখন ভারত ফের দায়ী করতে পারে পাকিস্তানকে। উপ মহাদেশের দু’টি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে শুরু হয়ে যেতে পারে যুদ্ধ।”
এখানেই থামেননি ইমরান। বরং রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, “ভারত পাকিস্তানের তুলনায় আয়তনে সাত গুণ বড়। একটা বড় দেশ যখন একটা ছোট দেশের উপর আক্রমণ শানায় তখন কী পরিণতি হতে পারে। হয় ছোট দেশ আত্মসমর্পণ করবে, নইলে নিজে শেষ হলেও ধড়ে প্রাণ থাকতে লড়াই চালিয়ে যাবে। আমার বিবেকও তাই বলে। আর যখন পরমাণু শক্তিধর একটা ছোট দেশ জীবন পণ রেখে যুদ্ধ করবে তার ফল ভুগতে হতে পারে গোটা বিশ্বকে।”
কাশ্মীর বিতর্ককে ইমরান যে এই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন সেই আশঙ্কা ভারতীয় কূটনীতিকরা আগেই করেছিলেন। ইমরানের আগেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি তাঁর নাতিদীর্ঘ বক্তৃতায় তাই কৌশলেই তুলে ধরেছিলেন ভারতের সনাতন দর্শনকে। মোদী বলেন, “যুদ্ধ নয়, বুদ্ধ দিয়েছি আমরা। সন্ত্রাসবাদ রুখে দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই ভারতের বৃহত্তর লক্ষ্য”।
পাক প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শেষ হতেই ভারতীয় কূটনীতিকরা বলেন, যুদ্ধ করার মুরোদ যে ইসলামাবাদের নেই ইমরানের কথাতেই তা পরিষ্কার। তাই রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি কান্নাকাটি করেছেন যাতে কাশ্মীর প্রশ্নে রাষ্ট্রপুঞ্জ হস্তক্ষেপ করে। কিন্তু নয়াদিল্লি তা হতে দেবে না। কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ ব্যাপারে কারও নাক গলানোর অধিকার নেই।