
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহারাষ্ট্রের জলগাঁও জেলায় একটি হস্টেলের মধ্যে ঢুকে মেয়েদের জোর করে নগ্ন করে নাচতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা সামনে আসার পরেই কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ এই ঘটনায় চার সদস্যের এক উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। বিজেপি নেতা সুধীর মুঙ্গাতিওয়ার অভিযোগ করেন, এই ঘটনায় গুরুত্ব দিচ্ছে না সরকার। তার জবাবে এই কথা জানান অনিল দেশমুখ।
সূত্রের খবর, জলগাঁওয়ের একটি হস্টেলের কিছু মেয়ে অভিযোগ করেন বাইরে থেকে কিছু ব্যক্তি ও কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক তদন্তের নাম করে তাঁদের হস্টেলে ঢোকেন। তারপরে তল্লাশির নামে তাঁদের নগ্ন হতে বাধ্য করেন তাঁরা। নাচতেও বাধ্য করা হয়। কিন্তু সেখানে কোনও মহিলা পুলিশ ছিল না বলেই অভিযোগ তাঁদের।
এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপরেই এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়।
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অনিল দেশমুখ বলেন, “এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। চার সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি করা হয়েছে, কমিটি এই ঘটনার তদন্ত করবে। দু’দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেবে সরকার।”
বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে দেশমুখ বলেন, “ওই ঘটনার সব তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও ও অন্যান্য নথি রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
তদন্ত কমিটি গঠনের পরেও অবশ্য সমালোচনা করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, কোনও ঘটনা ঘটলে পুলিশ তার তদন্ত করে। কিন্তু এক্ষেত্রে পুলিশই কাঠগড়ায়। ইতিমধ্যেই হয়তো অনেক তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়ে গিয়েছে। ভয় দেখিয়ে মেয়েদের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টাও হতে পারে। তাই যতক্ষণ না কোনও পদক্ষেপ সরকার নিচ্ছে ততক্ষণ তাঁরা প্রতিবাদ করবেন বলেই জানিয়েছেন বিরোধীরা।