
কুড়ির শেষেই আসতে পারে ভ্যাকসিন, প্রথম দফায় ৫০ লাখ ডোজের বরাত দিতে পারে মোদী সরকার
কোন সংস্থার ভ্যাকসিনকে প্রথম ছাড়পত্র দেবে রেগুলেটরি কমিটি সেটা এখনও জানা যায়নি। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে কোভিড এক্সপার্ট গ্রুপের সদস্যদের।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দেশের তিন সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিনই চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগোচ্ছে। প্রয়োজন হলে জরুরি ভিত্তিতে টিকার ডোজ বাজারে নিয়ে আসা হতে পারে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। প্রথম দফায় ভ্যাকসিন আসতে সময় লাগবে আরও কয়েকটা মাস। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই বছরের শেষে বা একুশ সালের গোড়াতেই করোনার টিকা নিয়ে আসা হবে। প্রথম দফায় ৫০ লাখ ভ্যাকসিনের ডোজের জন্য বরাত দেওয়া হতে পারে।
কোন সংস্থার ভ্যাকসিনকে প্রথম ছাড়পত্র দেবে রেগুলেটরি কমিটি সেটা এখনও জানা যায়নি। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে কোভিড এক্সপার্ট গ্রুপের সদস্যদের। এই বৈঠকের নেতৃত্বে রয়েছেন নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল ও স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে, টিকার ডোজ কেমন হবে, প্রতি ডোজের কী দাম হবে, উৎপাদন ও বিতরণের যাবতীয় খরচ সবিস্তারে লিখে আবেদনপত্র জমা করতে হবে।
সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রথম দফায় ভ্যাকসিন এলে শুরুতেই কাদের দেওয়া হতে পারে সেই নিয়ে আলোচনা চলছে। জানা গিয়ছে, ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, সেনাকর্মী, পুলিশকর্মী, প্রবীণ নাগরিক সহ হাই-রিস্ক গ্রুপের সদস্যদেরই প্রথম টিকা দেওয়া হতে পারে।
স্বাধীনতা দিবসের দিনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, দেশের তিন বড় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ভ্যাকসিনই চূড়ান্ত পর্বের দিকে এগোচ্ছে। ট্রায়ালের ফল ইতিবাচক হলে এবং ভ্যাকসিন রেগুলেটরি কমিটি থেকে সবুজ সঙ্কেত এলেই গণহারে টিকার ডোজ তৈরি শুরু হয়ে যাবে।
ভ্যাকসিন দৌড়ে রয়েছে দেশের পাঁচ সংস্থা। তার মধ্যে ভারত বায়োটেক, জাইদাস ক্যাডিলা ও সেরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিনেই আশা দেখা যাচ্ছে। দেশে এখন কোভিড টিকার দ্বিতীয় স্তরের ট্রায়ালে রয়েছে ভারত বায়োটেক ও জাইদাস ক্যাডিলা। এর মধ্যেই ভাল খবর শুনিয়েছে দেশের প্রথম সারির ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। অক্সফোর্ডের ভেক্টর ভ্যাকসিনের ফর্মুলায় তৈরি তাদের কোভিশিল্ড টিকার তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে দেশে। এই ট্রায়ালের রিপোর্ট ইতিবাচক হলেই দেশের প্রথম ভ্যাকসিন চলে আসবে বাজারে।
এই তিন সংস্থা ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেলের বায়োটেক ফার্ম এইচডিটি বায়োটেকনোলজি কর্পোরেশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে পুণের জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যাল। আরএনএ (রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) টেকনোলজিতে মেসেঞ্জার আরএনএ (mRNA) সিকুয়েন্সকে কাজে লাগিয়েছে HGCO19 ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট ডিজাইন করেছে জেনোভা। ভ্যাকসিন তৈরিতে জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গে চুক্তি করেছে হায়দরাবাদের বায়োটেকনোলজি ফার্ম বায়োটেকনোলজি ই। বায়োমেডিক্যাল অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (BARDA) যৌথ উদ্যোগে Ad26.COV2.S ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট ডিজাইন করেছে জনসন অ্যান্ড জনসনের রিসার্চ উইং জ্যানসেন ফার্মাসিউটিক্যালস। সেই ভ্যাকসিনই দেশে তৈরি করছে বায়োটেকনোলজি ই।