
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতে টিকাকরণ শুরু হওয়ার পরে কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া বা শরীরে অন্য কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। এবার কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার ৬ দিন পরে মৃত্যু হল গুরুগ্রামের ৫৬ বছর বয়সী এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর। গত শনিবার তাঁকে দেওয়া হয়েছিল কোভিশিল্ড। শুক্রবার মৃত্যু হয় তাঁর। কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে সেটা এখনও জানা যায়নি। ওই ব্যক্তির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে তবেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
ওই স্বাস্থ্যকর্মীর নাম রাজওয়ান্তি। তাঁর পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে অনেকবার ডাকার পরেও ঘুম থেকে ওঠেননি তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মেদান্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। যদিও ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তাঁর শরীরে কোনও রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল না বলেই জানিয়েছে পরিবার।
গুরুগ্রামের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডক্টর বীরেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে তবেই রাজওয়ান্তির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ততক্ষণ এটা বলা ঠিক নয় যে ভ্যাকসিনের কারণে মৃত্যু হয়েছে রাজওয়ান্তির।”
গত শনিবার থেকে ভারতে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। প্রথম পর্যায়ে ৩ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার এবং ৫০ বছরের বেশি বয়স্ক ও কো-মর্বিডিটি থাকা ২৭ কোটি মানুষকে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। মূলত সেরাম ইন্সটিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে ভারতে।
ইতিমধ্যেই ১০ লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকা দেওয়ার পরে ভারতে এখনও পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর সামনে আসেনি। যদিও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কিছু ঘটনা সামনে এসেছে। শুক্রবার সরকারের তরফে ফের একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ভারতে দেওয়া দুটি ভ্যাকসিনই নিরাপদ। কারও ভয় পাওয়ার দরকার নেই। যদিও এর মধ্যেই ভারতে তৈরি কোভ্যাক্সিন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ডাক্তারদের একাংশ। তাঁদের যুক্তি, কোভিশিল্ডের তিনটি পর্যায়ের ট্রায়ালই শেষ হয়েছে। কিন্তু কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল এখনও শেষ হয়নি। তাই তাঁরা কোন টিকা নেবেন, সেটা বাছার অধিকার তাঁদের দেওয়া উচিত। যদিও এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্র।