
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা নিয়ে গবেষণা করতেই ভিন দেশে যাওয়া। ভারতের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতেই মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এতদিন করোনা ভ্যাকসিন, ক্লিনিকাল ট্রায়াল ও ওষুধপত্র নিয়ে গবেষণা করছিলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের অধিকাংশই করোনা আক্রান্ত। কেউ কেউ অসুস্থ। সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমানে চাপিয়ে ৫০ জন ভারতীয় বিজ্ঞানীকে দেশে ফেরাল বায়ুসেনা।
করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরেই ভারত থেকে বিজ্ঞানী, ডাক্তার, প্রশিক্ষিত নার্সদের নানা দেশে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। গবেষণা সংক্রান্ত কাজে এতদিন ভিন দেশেই ছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। ভাইরাল স্ট্রেন নিয়ে গবেষণা করছিলেন অনেকেই। ভ্যাকসিন ট্রায়াল গ্রুপের সদস্যও ছিলেন অধিকাংশ বিজ্ঞানী। এঁদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর মেলার পরেই উদ্ধার করতে ছুটে যায় বায়ুসেনার বিমান।
সূত্রের খবর, চিনের উহান থেকেও ফেরানো হয়েছে বিজ্ঞানীদের। ২০ ঘণ্টার মিশনে ৫০ জন বিজ্ঞানীকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে এনেছে সি-১৭ গ্লোবমাস্টার। বিজ্ঞানীদের সঙ্গে গবেষণারত পড়ুয়া ও বিদেশে আটকে পরা আরও কয়েকজন ভারতীয়কেও ফেরানো হয়েছে দেশে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোভিড কেয়ার সেন্টারে তাঁদের চিকিৎসা হবে। কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষ হওয়ার পরেই সকলকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
গত মার্চ মাস থেকেই ভিন দেশে আটকে পরা ভারতীয়দের উদ্ধার করছে বায়ুসেনার সি-১৭ স্কোয়াড্রন। গত এপ্রিলেই ইরান থেকে চারশোরও বেশি পুণ্যার্থীকে উদ্ধার করে বায়ুসেনার বিমান। ইরানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮৬ হাজার। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি। ইরানে অন্তত ছ’হাজার ভারতীয়ের বাস। যাঁদের মধ্যে হাজার জনেরও বেশি পুণ্যার্থী। পড়ুয়ার সংখ্যা অন্তত তিনশো। করোনার সংক্রমণ ইরানে মহামারীর চেহারা নেওয়ার পরে উদ্ধারের আর্জি জানিয়ে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন সেখানকার ভারতীয় পড়ুয়া ও পুণ্যার্থীরা। তারপরেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে মোট ৬০০ জন পড়ুয়া ও পুণ্যার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে ইরান থেকে। তার আগে উহান ও চিনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধার করা হয়।