
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবশেষে এল স্বস্তির বার্তা। টেলিকম শিল্পকে খানিক আশ্বস্ত করে কেন্দ্র জানাল স্পেকট্রাফ ফি এখনই নয়, বকেয়া মেটাতে টেলি সংস্থাগুলি সময় দেওয়া হবে আরও দু’বছর।
বিপুল আর্থিক লোকসানের কারণে কোনও সংস্থা ব্যবসা গুটিয়ে দেশ ছাড়ুক এটা চায় না কেন্দ্র, গত শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে টেলিকম শিল্পের আর্থিক সঙ্কটের কথা মেনে নিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। এর ফলে ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া ও রিলায়্যান্স-জিও আপাতত প্রায় ৪২,০০০ কোটি টাকার বকেয়া মেটানো থেকে স্বস্তি পাবে।
এই অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিপুল লোকসানে ডুবল ভোডাফোন আইডিয়া ও এয়ারটেল। যা প্রায় ৭৪,০০০ কোটি টাকা। শুধু ভোডাফোন আইডিয়ার ক্ষতিই ছুঁয়েছে ৫০,৯২১ কোটি। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, কোনও ভারতীয় সংস্থা কখনও এত লোকসান করেনি। এয়ারটেলের ক্ষেত্রে তা ২৩,০৪৫ কোটি। গত মাসে তাদের সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। টেলিকম বহুজাতিক ভোডাফোনের চিফ এগ্জ়িকিউটিভ নিক রিড তারপরেই ভারতে তাদের ব্যবসার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত বলে ইঙ্গিত দেন। তার জন্য তিনি দায়ী করেন চড়া করের প্রেক্ষিতে সরকারের অসহযোগিতা ও বকেয়া লাইসেন্স ফি দেওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়কে।
টেলিকম শিল্পের দাবি ছিল, স্বল্পমেয়াদে এই কিস্তি মেটানোর সুযোগ না পেলে দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসার ক্ষতি হবে। কারণ তীব্র মাসুল যুদ্ধের জেরে অধিকাংশ সংস্থার আর্থিক দশা বেহাল। টেলি সংস্থাগুলির সংগঠন সিওএআই কেন্দ্রের কাছে ত্রাণ প্রকল্পের আর্জি জানিয়েছিল। টেলিকম সঙ্কট কাটাতে ক্যাবিনেট সচিবের তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিবদের নিয়ে কমিটি গড়েছিল কেন্দ্র। বিভিন্ন সরকারি চার্জ কমিয়ে ত্রাণ প্রকল্পের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছিল সেই কমিটি। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর নির্মলা সীতারামন জানান, টেলিকম সংস্থাগুলির আর্জি ও সচিবদের কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই স্পেকট্রামের বকেয়া মেটানোর সময় আরও দু’বছর পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ ২০২২ সালের মধ্যে বকেয়া মেটাতে হবে সংস্থাগুলিকে।