
এক লাখ করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন একদিনে, দৈনিক সংক্রমণও নেমেছে ৭৫ হাজারে
দেশে এখন কোভিড পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৫৫ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৩ জন। সংক্রমণ বৃদ্ধির হার যে কমেছে তেমনটা বলা যায় না। তবে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসায় কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। এবার লক্ষ্য হল সংক্রমণের হার ও অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমিয়ে ফেলা।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দৈনিক সংক্রমণের হার কিছুটা হলেও কমেছে। ৯০ হাজারের কোঠা থেকে ৭৫ হাজারে নেমে এসেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সকালের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণ ৭৪ হাজার ৯০৩ জন। তুলনায় করোনা সারিয়েছেন বেশিজন। সেই সংখ্যা এক লাখেরও বেশি।
দেশে এখন কোভিড পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৫৫ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৩ জন। সংক্রমণ বৃদ্ধির হার যে কমেছে তেমনটা বলা যায় না। তবে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসায় কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। এবার লক্ষ্য হল সংক্রমণের হার ও অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমিয়ে ফেলা। সতর্কবার্তা আগেই এসেছিল যে কোভিড অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। কারণ এখনই করোনা অ্যাকটিভ কেস ৯ লাখের বেশি, ১০ লাখ ছুঁতে চলেছে। অ্যাকটিভ কেসের হার ১৮.২৮%। তাই চিন্তামুক্ত হওয়া যাচ্ছে না এখনই। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানাচ্ছে, কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ে যদি বেশি সংখ্যক করোনা রোগীকে চিহ্নিত করে ফেলা যায় তাহলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার হারও কমবে।

আজকের বুলেটিনে দুটো ইতিবাচক দিক রয়েছে। প্রথমত, করোনায় মৃত্যুহার আরও কমেছে। কেন্দ্রের হিসেবে ১.৬০%। এখনও অবধি ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৮৮ হাজার জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হাজারের বেশি। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, দেশে কোভিড রোগীদের বেশিরভাগই কো-মর্বিডিটির শিকার। ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন এই দুই রোগ বেশি দেখা যাচ্ছে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে। তাছাড়া, ক্রনিক লিভার ও কিডনির রোগ, সিওপিডিও রয়েছে অনেকের মধ্যেই।
দ্বিতীয়ত, কোভিড রিকভারি রেট তথা সুস্থতার হার আরও বেড়েছে। কেন্দ্রের হিসেবে ৮০.১২ শতাংশ। একদিনেই করোনা সারিয়েছেন এক লাখের বেশি রোগী। দেশে এখন কোভিড জয়ীদের সংখ্যা, ৪৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৮৬৭ জন।
COVID-19 Testing Update. For more details visit: https://t.co/dI1pqvXAsZ @MoHFW_INDIA @DeptHealthRes #ICMRFIGHTSCOVID19 #IndiaFightsCOVID19 #CoronaUpdatesInIndia #COVID19 pic.twitter.com/41sIeZXhex
— ICMR (@ICMRDELHI) September 22, 2020
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানাচ্ছে, দেশে করোনা পরীক্ষা বেড়েছে। কনট্যাক্ট ট্রেসিং ও সেরো সার্ভে চলছে কয়েকটি রাজ্যে। করোনা রোগীদের দ্রুত চিহ্নিত করা হচ্ছে তাই চিকিৎসায় তাঁরা সেরেও যাচ্ছেন। করোনা পরীক্ষা বাড়ার কারণেই অনেক বেশি রোগীকে শনাক্ত করা যাচ্ছে, তাই আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি দেখাচ্ছে বলে দাবি।
দেশে এখনও অবধি ৬ কোটির বেশি করোনা পরীক্ষা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিএমআর। তাদের হিসেবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬ কোটি ৫৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৭৯টি। গতকালই স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে ৯ লাখের বেশি।