
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দৈনিক সংক্রমণের কার্ভ ক্রমেই কমতির দিকে। গত মঙ্গলবার ৫২ হাজারে মেনেছিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। তারপর টানা তিন দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণ ৬০ হাজারের নিচেই রয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সকালের বুলেটিনে দেখা গেল নতুন সংক্রমণ ৫৬ হাজারের কাছাকাছি।
দেশে এখন কোভিড পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৭৭ লাখ। ভাল দিক হল করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা আরও কমেছে। আট লাখের নিচে নেমেছিল দিনকয়েক আগেই। আজ সকালে কেন্দ্রের বুলেটিনে দেখা গেল, করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা নেমেছে ৭ লাখে। অ্যাকটিভ কেস ৯.২৯ শতাংশ। দশ শতাংশের নিচে নেমে যাওয়া মানে সংক্রমণ ছড়ানোর হার ধীরে ধীরে কমবে বলেই আশা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

করোনায় মৃত্যুহার ১.৫১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৭০২ জনের। দেশে এখন করোনায় মৃতের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে তবে কোভিড ডেথ রেট দুই শতাংশের কম। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোমর্বিডিটির কারণে মৃতের সংখ্যা বেশি। করোনায় মৃতদের বেশিরভাগই ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, হার্টের রোগ, ক্রনিক কিডনি বা ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
সুস্থতার হার বেড়েছে দেশে। একদিনে করোনা জয় করেছেন ৭৯ হাজারের বেশি রোগী। দেশে কোভিড সারিয়ে ওঠাদের সংখ্যা ৬৮ লাখ ছাড়িয়েছে। করোনায় সুস্থতার হার ৮৯.২০ শতাংশ।
COVID-19 Testing Update. For more details visit: https://t.co/dI1pqvXAsZ @MoHFW_INDIA @DeptHealthRes #ICMRFIGHTSCOVID19 #IndiaFightsCOVID19 #CoronaUpdatesInIndia #COVID19 pic.twitter.com/0B6vA63iMQ
— ICMR (@ICMRDELHI) October 22, 2020
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানাচ্ছে, কোভিড টেস্টের সংখ্যা বেড়েছে দেশে। আজ অবধি ৯ কোটি ৮৬ লাখ করোনা পরীক্ষা হয়েছে দেশজুড়ে। গতকালই ১৪ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। কোভিড টেস্ট, কনট্যাক্ট ট্রেসিং, কনটেইনমেন্ট ও ট্রিটমেন্টে সংক্রমণ কমার আশা দেখা যাচ্ছে।
এদিকে করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালও দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। সেরাম ইনস্টিটিউট, ভারত বায়োটেক ও জাইদাস ক্যাডিলার টিকার ট্রায়াল চূড়ান্ত পর্বে রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন বলেছেন, আগামী বছরের গোড়ায় ভ্যাকসিন চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বিতরণ ও ভ্যাকসিন সংরক্ষণের কর্মসূচী তৈরি হচ্ছে। রাজ্যগুলিকে এই মর্মে চিঠি পাঠানো হয়েছে। হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই ব্যাপারে বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও এগিয়ে আসতে বলা হয়েছে। করোনার টিকা কারা আগে পাবেন সেই ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।