
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দৈনিক বৃদ্ধি কমেছে অনেকটাই। গত কয়েকদিন ধরেই নতুন সংক্রমণ ৪০ হাজারের নিচে নেমে গেছে। দু’দিন আগে ৩১ হাজারে নেমে গিয়েছিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিনে দেখা গেল, নতুন সংক্রমণ ৩৫-৩৬ হাজারের মধ্যেই আছে।
দেশে এখন করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৯৫ লাখ। ইতিবাচক দিক হল, কোভিড অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা তরতরিয়ে কমছে। গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, দিল্লিতে সংক্রমণের হার বৃদ্ধির কারণে তার প্রভাব পড়েছিল জাতীয় গড়েও। তবে এখন অ্যাকটিভ কেস অনেকটাই স্থিতিশীল। কেন্দ্রের হিসেব বলছেন, টানা পাঁচ দিন ধরে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমছে। সাড়ে চার লাখের নিচে নেমে গেছে।
দিল্লিতে সংক্রমণের হার আরও কমেছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পরে সংক্রমণের হার এক ধাক্কায় ১২ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। পরে তা কমে সাড়ে আট শতাংশে পৌঁছয়। গত সপ্তাহে সংক্রমণের হার সাত শতাংশে নেমে যায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলছে, গত কয়েকদিনে দিল্লিতে কোভিড পজিটিভিটি রেট তথা সংক্রমণের হার আরও কমে পাঁচ শতাংশে পৌঁছেছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী দিনে পাঁচ শতাংশেরও নিচে নেমে যায় সংক্রমণের হার।
তবে দিল্লিতে সংক্রমণের হার কমলেও চিন্তা বাড়ছে কর্নাটকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জানুয়ারিতে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ধাক্কা দিতে পারে কর্নাটকে। বড়দিনের পর থেকেই সংক্রমণের হার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেরলেও গত কয়েকদিন ধরে সংক্রমণের কার্ভ ঊর্ধ্বমুখী। উদ্বেগের কারণ রয়েছে সে রাজ্যেও।
করোনায় সুস্থতার হার ১০০ শতাংশে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। আজ অবধি কোভিড রিকভারি রেট তথা সুস্থতার হার ৯৪ শতাংশ। ৮৯ লাখের বেশি করোনা রোগী সংক্রমণ সারিয়েছেন। মৃত্যুহারও কম, ১.৪৫ শতাংশ। সংক্রমণে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫২৬ জনের।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ জানিয়েছে দেশে কোভিড টেস্টের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের থেকে রিয়েল টাইম আরটি-পিসিআর টেস্টের সংখ্যা এখন বেশি। ১৪ কোটির বেশি করোনা পরীক্ষা হয়েছে। গতকালই নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লাখের কাছাকাছি।