
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দৈনিক সংক্রমণের পাল্লা কমল। মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিনে কিছুটা হলেও আশা জাগল। পরিসংখ্যাণ বলছে, প্রায় মাস দুয়েক পরে দৈনিক সংক্রমণ এতটা নিচে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৫৫ হাজার। একদিনে মৃতের সংখ্যাও কম।
সেপ্টেম্বরে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা শীর্ষে পৌঁছেছিল। প্রায় প্রতিদিনই ৭০ থেকে ৮০ হাজারের বেশি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ছিল। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে দৈনিক সংক্রমণ ৯০ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে বাড়ে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও। সংক্রমণের হার বৃদ্ধি দেখে আশঙ্কা করা হয়, অক্টোবরের মধ্যেই করোনা অ্যাকটিভ রোগী ১০ লাখের গণ্ডি পেরিয়ে যাবে।
আজ সকালের বুলেটিনে দেখা গেছে, দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কমেছে। করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও কম। দেশে এখন অ্যাকটিভ কেস ১১ শতাংশের কাছাকাছি। ভাইরাস সংক্রমণে একদিনে মৃত্যু হয়েছএ ৭০৬ জনের। মৃত্যুহারও কমেছে ১.৫৩ শতাংশ।


আশা জাগাচ্ছে সুস্থতার হার। প্রায় ৭৭ হাজার করোনা রোগী সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন একদিনে। দেশে এখন কোভিড জয়ীদের সংখ্যা ৬২ লাখ ২৭ হাজার ২৯৫ জন। সুস্থতার হার ৮৬.৭৮%।
COVID-19 Testing Update. For more details visit: https://t.co/dI1pqvXAsZ @MoHFW_INDIA @DeptHealthRes #ICMRFIGHTSCOVID19 #IndiaFightsCOVID19 #CoronaUpdatesInIndia #COVID19 pic.twitter.com/i44PhvorZU
— ICMR (@ICMRDELHI) October 13, 2020
দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কমলেও, দেশের পাঁচ রাজ্যের করোনা গ্রাফ চিন্তার কারণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, কেরল, ছত্তীসগড়, উত্তরাখণ্ড, ওড়িশা ও মধ্যপ্রদেশে গত ১৩ সেপ্তেম্বর থেকে ৪ অক্টোবরের মধ্যে সংক্রমণের হার মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে গেছে। এই সময়ের মধ্যে কেরলে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১১২%, ছত্তীসগড়ে ৯৩%, উত্তরাখণ্ডে ৬১%, ওড়িশা ও মধ্যপ্রদেশে ৫৪%। কেরলে কোভিড অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরল ও মহারাষ্ট্রে নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৭ হাজারের বেশি। তবে কিছু রাজ্যে সংক্রমণের হার আগের থেকে কমেছে। যেমন বিহারে, তামিলনাড়ু, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানায় একসময় কোভিড গ্রাফ বাড়লেও এখন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার হার তুলনায় কমেছে। মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে এখনও শীর্ষেই রয়েছে এই রাজ্য। আক্রান্ত বৃদ্ধির হার ৩৬%। মহারাষ্ট্রের পরেই কর্নাটকে আক্রান্তের হার বেড়েছে ৩৯%।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন বলেছিলেন, দেশে কোভিড টেস্ট অনেক বেড়েছে। ১৮০০-র বেশি ল্যাবরেটরিতে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। দৈনিক ১৫ লাখ কোভিড টেস্টের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর হিসেবে এ যাবৎ দেশে ৮ কোটি ৮৯ লাখ করোনা পরীক্ষা হয়েছে। গতকালই নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লাখ ৭৩ হাজার।