
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রেজাল্ট বেরোনোর পর শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসে যাচ্ছিল। সর্বভারতীয় জয়েন্টের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অসমের সেরা বলে কথা! মার্কশিট বলছে ৯৯.৮ শতাংশ নম্বর! কিন্তু একনম্বর হতে গিয়ে যে এমন দু’নম্বরি কারবার হয়েছে তা কে জানত!
নীল নক্ষত্র দাস! জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অসমের সেরা হয়তো যে কোনও আইআইটিতে সুযোগ পেতে পারত। কিন্তু আপাতত তার ঠিকানা জেল। শুধু সে নয়। তার বাবা ডক্টর জ্যোতির্ময় দাস, পরীক্ষা কেন্দ্রের তিনজন কর্মী হেমেন্দ্র নাথ শর্মা, প্রাঞ্জল কালিতা এবং হীরুলাল পাঠকও আপাতত লকআপে। বৃহস্পতিবার তাদের তাদের চার জনকে আদালতে তুলবে গুয়াহাটি পুলিশ।
মিত্রদেব শর্মা নামের এক ব্যক্তি গত সপ্তাহে এফআইআর দায়ের করেন আজারা থানায়। তথ্য হিসেবে তিনি জমা দেন কিছু হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিন শট এবং কিছু অডিও মেসেজের ক্লিপ। তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে গুয়াহাটি পুলিশ। আর তাতেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে।
গুয়াহাটি পুলিশ জানিয়েছে, পরীক্ষার হলে যায়ইনি নীল নক্ষত্র। তার বদলে অন্য একজনকে ভাড়া করা হয়েছিল। কিন্তু অ্যাডমিট কার্ড, ফটো আইডি এত সব নিরাপত্তার বেড়া ডিঙিয়ে একজনের বদলে অন্য জন ঢুকল কী করে? তখনই জানা যায়, পরীক্ষা কেন্দ্রের কর্মীরা পাশে দাঁড়িয়েছিল। পুরো পরিকল্পনা করেছিল নীল নক্ষত্রের বাবা।
পুলিশের সন্দেহ, এটা একজন পরীক্ষার্থীর বিষয় নয়। এর পিছনে বড় চক্র রয়েছে। শুধু তাই তাই নয়, পরীক্ষার হলের হেড এক্সামিনারও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে সন্দেহ পুলিশের। যে পরীক্ষার হলে এই কেলেঙ্কারি ঘটেছে সেটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপালকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে।