
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছিল মহারাষ্ট্রের কোভিড সংক্রমণের ছবিটা। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে তাতে বদল হয়েছে। ফের বাড়তে শুরু করেছে দৈনিক সংক্রমণ। আর মূলত মহারাষ্ট্রের এই সংক্রমণ বাড়ার প্রভাব পড়েছে দেশের ছবিতেও। সুস্থতার থেকে বেশি হচ্ছে দৈনিক আক্রান্ত। এই অবস্থা আরও ১৫ দিন চললে মহারাষ্ট্রে ফের লকডাউন শুরু হবে বলেই হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তাই লকডাউন এড়াতে সবাইকে কোভিড বিধি মানার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
রবিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে উদ্ধব বলেন, “আমাদের কি লকডাউন প্রয়োজন? আপনারা দায়িত্ব পালন করছেন কিনা সেটা আগামী আটদিনেই বোঝা যাবে। যাঁরা লকডাউন চান না তাঁরা মাস্ক ব্যবহার করুন। যাঁরা লকডাউন চান, তাঁরা পরবেন না। মাস্ক পরে লকডাউনকে না বলুন। আগামী ৮ থেকে ১৫ দিনেই আমরা বুঝতে পারব এটা করোনার সেকেন্ড ওয়েভ কিনা।”
তিন মাস পরে গত শুক্রবার মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণ ৬ হাজারের বেশি হয়েছে। রবিবার তো সেখানে ৬৯৭১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। মুম্বইয়ে শুধুমাত্র নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৯২১।
এই প্রসঙ্গে উদ্ধব বলেন, “করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এখানে দৈনিক আক্রান্ত ২ হাজার থেকে ৩ হাজারে নেমেছিল। সেটা এখন ৬ থেকে ৭ হাজার। অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৪০ হাজার থেকে লাফিয়ে ৫৩ হাজার হয়ে গিয়েছে। গত বছর কোভিড যখন শিখর ছুয়েছিল তখন যে দৈনিক আক্রান্ত দেখা যেত সেটাই এখন দেখতে পাচ্ছি। তাহলে ভাবুন যদি আবার সংক্রমণ শিখরে যায় তখন আমাদের রাজ্যের ছবিটা কীরকম হবে।”
একথা বলার পরেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ঘোষণা, “আগামী ৮ থেকে ১৫ দিন যদি এভাবেই দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে থাকে তাহলে ফের লকডাউন ঘোষণা করা হবে।”
যে যে জেলায় সংক্রমণ বেশি হচ্ছে সেখানে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। উদ্ধব বলেন, “অমরাবতী, আকোলা-সহ অনেক জায়গায় আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি একদিন সময় দিয়ে লকডাউন ঘোষণা করুন। যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সেটাই নিন।”
মহারাষ্ট্রে সব ধরনের জমায়েত বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপি জোট সরকার। উদ্ধব বলেন, “আমি নির্দেশ দিচ্ছি আগামীকাল যে সভা হওয়ার কথা সেটা বাদ দিয়ে আগামী কয়েক দিন সব ধরনের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। আপনারা দলের প্রচার করুন। কিন্তু করোনাকে ছড়াবেন না।”
মহারাষ্ট্রের কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সের সদস্য শশাঙ্ক জোশী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে দেশে কোভিডের ২৪০টি নতুন স্ট্রেনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। অবশ্য তাদের সংক্রমণ ক্ষমতা কতটা সে নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।