
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হাফিজ-তাসেও কাটল না গেরো। সন্ত্রাসবাদ বিরোধী পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েও সন্ত্রাসবিরোধী আর্থিক সংস্থা ( এফএটিএফ)-এর ধূসর তালিকার বাইরে বেরাতে পারল না পাকিস্তান। প্যারিস সম্মেলনে পাকিস্তানকে ঠিক কোথায় ফেলা হবে তার চূড়ান্ত ফয়সালা হয়ে যাওয়ার পরেই নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক ইমতিয়াজ হুসেন।
ইমতিয়াজ বলেন, রূপ দিয়ে আর কী হবে! নিজের ব্যক্তিত্ব দেখানোর চেষ্টাতেও ডাহা ফেল পাক প্রধানমন্ত্রী। শত চেষ্টা করেও ‘হ্যান্ডসাম’ ইমরান কোনওভাবেই ধূসর তালিকা থেকে নিজের দেশকে বাঁচাতে পারলেন না। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘আমি বুঝতে পারছি না ইমরান ঠিক কতটা হ্যান্ডসাম, কীভাবেই বা হ্যান্ডসাম হলেন। হ্যান্ডসাম লোকেরা হ্যান্ডসাম কাজই করেন। সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া হ্যান্ডসাম কাজের মধ্যে পড়ে না।’’
Despite all efforts by handsome PM @ImranKhanPTI,Pakistan continues to be in the grey list of @FATFNews.Looks don’t help when you’re expected to act.
Fail to understand by what scale Imran Khan is handsome.Handsome is what handsome does.Sponsoring terror is never handsome.Period.— Imtiyaz Hussain (@hussain_imtiyaz) February 18, 2020
মঙ্গলবার প্যারিসে এফএটিএফ-এর ৩৯ সদস্য দেশের মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানেই পাকিস্তান ও ইরানকে নিয়ে আলোচনা হয়। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় এই দুই দেশের ভূমিকার কথা উঠে আসে। তুরস্ক ও মালয়েশিয়া সমর্থন করে পাকিস্তানকে। কিন্তু বাকি দেশগুলি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পাকিস্তানকে ব্যর্থ বলেই দাবি করে। লস্কর ই তৈবা, জইশ ই মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদ্দিনের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে আর্থিক জোগান বন্ধ করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য ধূসর তালিকায় রাখা হয় পাকিস্তানকে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পাকিস্তানের আশ্বাসের উপর ভরসা করে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়নি ইমরান খানের দেশকে।
ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে পাকিস্তানের কোনও চালই কাজে আসেনি, এমনটাই বললেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের শীর্ষ কর্তা ইমতিয়াজ হুসেন। তাঁর দাবি, এফএটিএফের বৈঠকের আগেই লস্কর-মাথা হাফিজ সইদের পাঁচ বছরের সাজা ঘোষণা করে পাকিস্তান প্রমাণ করতে চেয়েছিল তারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে। এর আগে হাফিজকে গ্রেফতার করা হলেও তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পাকিস্তানের অ্যান্টি টেররিজম অ্যাক্টের (এটএ ১৯৯৭) ১১ ধারায় হাফিজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওই পর্যন্তই। তারপর এত মাসেও হাফিজকে সাজা শোনানোর ব্যাপারে তেমন উৎসাহ দেখায়নি পাকিস্তান।
এফএটিএফ-এর রিপোর্টে বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ নম্বর ধারায় তালিকাভুক্ত বিশেষ করে লস্কর-ই-তৈবা, জামাত-উদ-দাওয়া, ফালাহ-ই-ইনসানিয়াতের মতো সংগঠন বা তাদের মাথার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি পাকিস্তান। পাকিস্তান অবশ্য দাবি করেছে তারা বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর ৭০০ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। জঙ্গিদের অর্থ জোগান বা ‘মানি লন্ডারিং’-এর তেমন কোনও প্রমাণই নেই। অবশ্য কালো তালিকার বাইরে আপাতত বেরালেও খুব একটা স্বস্তিতে নেই ইমরান সরকার। কারণ, এপ্রিল মাসের মধ্যে নিজেদের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে হবে পাকিস্তানকে। নইলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে তাদের।