
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা সংক্রমণ প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল দেশে। সেখান থেকে আচমকাই বড়সড় ধাক্কা এসেছে গত দু’সপ্তাহ ধরে। করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। দৈনিক সংক্রমণ ফের দশ হাজারের ওপরে উঠে গেছে। করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
মহারাষ্ট্র ও কেরলের পাশাপাশি পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বেড়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। ফলে ফের ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশের বেশি।
দেশে এখন ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৭ হাজারে পৌঁছেছে। অ্যাকটিভ কেসের হার ১.৩৫%। অথচ গত সপ্তাহেই কোভিড অ্যাকটিভ কেসের হার ১.৩০ শতাংশের নীচে ছিল। গত ২৪ নভেম্বর কেন্দ্রের বুলেটিনে দেখা গিয়েছিল করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৩৮ হাজারের কাছাকাছি। তিনদিনের মধ্যে তা বেড়ে ৪ লাখ ৫৫ হাজারে পৌঁছয়। এরপর থেকে কোভিড কার্ভ কমতে শুরু করে। ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও কমে যায়। কিন্তু গত দুসপ্তাহে এই পরিস্থিতি বদলে গেছে। সংক্রমণের হার এতটাই বেড়েছে যে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা আসতে পারে কিনা সে নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব বলছে, গত সপ্তাহ থেকে মহারাষ্ট্রে কোভিড সংক্রমণের হার বেড়েছে ৮১%। দেশের জাতীয় গড়ের থেকে যা অনেক বেশি। মধ্যপ্রদেশে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি হয়েছে ৪৩%, পাঞ্জাবে ৩১%, জম্মু ও কাশ্মীরে ২২%, ছত্তীসগড়ে ১৩% ও হরিয়ানায় ১১%। দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলে এলেও গত কয়েকদিনে ফের সংক্রমণের হার বেড়েছে ৪.৭%।
দেশে এক কোটির বেশি টিকাকরণ হয়েছে আজ অবধি। স্বাস্থ্যকর্মীদের পরে পুলিশ, প্রশাসন ও ফ্রন্টলাইন কর্মীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই ৫০ বছরের বেশি প্রবীণ ও কোমর্বিডিটির রোগীদের টিকা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।