
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতে এই মুহূর্তে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন এই দুই টিকা দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে কোভ্যাক্সিনের টিকা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। অনেকে নিতেও চাইছেন না এই ভ্যাকসিন। এর মধ্যেই দিল্লির অল ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা এইমস প্রধান ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানালেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ৩-৪টি ভ্যাকসিন চলে আসবে। মানুষ নিজের পছন্দ অনুযায়ী ভ্যাকসিন নেবে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গুলেরিয়া বলেন, “আগামী কয়েক সপ্তাহে আমাদের হাতে ৩-৪টি ভ্যাকসিন থাকবে। একই কেন্দ্রে হয়তো সবগুলি পাওয়া যাবে না। একটা কেন্দ্রে এক রকমের ভ্যাকসিনই দেওয়া হবে। কিন্তু আপনার এলাকায় একাধিক কেন্দ্র থেকে একাধিক ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। অর্থাৎ এটা আপনার সিদ্ধান্ত আপনি কোন কেন্দ্রে গিয়ে কোন ভ্যাকসিন নেবেন। কিন্তু আপনি একটা কেন্দ্রে গিয়ে অন্য ভ্যাকসিন চাইতে পারবেন না।”
বর্তমানে মানুষের নিজের পছন্দ করার সুবিধা নেই। যে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে সেটি নিতে হচ্ছে। কিন্তু গুলেরিওয়ার কথা অনুযায়ী ৩-৪টি ভ্যাকসিন চলে এলে আর সেই সমস্যা হবে না।
যেসব রাজ্যে হঠাৎ করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে সেখানে দ্রুত টিকাকরণের প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করেন এইমস প্রধান। তিনি বলেন, “আমরা যদি টিকা দেওয়া মানুষের সংখ্যা দেখি তাহলে দেখব অনেক মানুষকে আমরা টিকা দিয়েছি। কিন্তু যদি আমরা শতাংশের হিসেবে দেখি তাহলে দেখব সেটা অনেক কম। তাই আমাদের ভাবতে হবে কীভাবে টিকাকরণ আরও বাড়ানো যায়। বেসরকারি মাধ্যমকে টিকাকরণের অনুমতি দিলেই একমাত্র সেটা সম্ভব।”
গুলেরিয়া আরও বলেন, “যদি আমরা বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দিতে পারি তবে শুধুমাত্র আমরা সংক্রমণ কমাতে সক্ষম হব তাই নয়, হাসপাতালে ভর্তি মানুষের সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যা কমাতেও সক্ষম হব।”
এই মুহূর্তে শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতাল ও সেন্টারে দেওয়া হচ্ছে কোভিড টিকা। সেই প্রসঙ্গ তুলেই এইমস প্রধান বলেন, “প্রথমে যখন আমরা করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলাম তখন শুধুমাত্র সরকারি ল্যাবেই সেটা হত। কিন্তু পরে আমরা বেসরকারি ল্যাবেও গবেষণা শুরু করেছি। তাতে অনেক সুফল মিলেছে। সেই মতো টিকাকরণের ক্ষেত্রেও বেসরকারি মাধ্যমকে আমাদের দায়িত্ব দিতে হবে। আর টিকার দাম তো বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং কারও সমস্যা হবে না।”
শনিবার সরকার জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে দেওয়া হলেও বেসররকারি হাসপাতালে টাকা দিয়েই টিকা নিতে হবে। যদিও প্রতিটি ডোজের ঊর্ধ্বসীমা ২৫০ টাকা অর্থাৎ দুটি ডোজের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র।