
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহারাষ্ট্রের পালঘরে একসময় বার্ড ফ্লুয়ের আতঙ্ক ঘুম উড়িয়েছিল প্রশাসনের। রাস্তাঘাটে পাখির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছিল। বার্ড ফ্লুয়ের ভাইরাস হানা দিয়েছিল পোলট্রি ফার্মগুলিতেও। তবে মাঝের কয়েকটা সপ্তাহে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছিল বলেই খবর। কিন্তু এখন আবার বার্ড ফ্লু তথা অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার আতঙ্ক ছড়িয়েছে সেই পালঘরেই। গত কয়েকদিনে পোলট্রিগুলিতে ৪৫টি মুরগির মৃত্যু হয়েছে সংক্রমণে। একে মহারাষ্ট্রে ভয়ঙ্কর করোনা, তার মধ্যেই বার্ড ফ্লু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় চিন্তা বেড়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের।
পালঘর জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, পালঘরের সমস্ত পোলট্রিতে বার্ড ফ্লু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। জেলাশাসক কিরণ মহাজন বলছেন, মৃত মুরগির নমুনাতে ভাইরাল স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। ভাইরাস ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আজ থেকে আগামী ২১ দিনের জন্য পালঘরের সমস্ত পোলট্রি ফার্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার হানায় রাজ্যে এখনও অবধি ৩৮১টি পাখির মৃত্যু হয়েছে। অমরাবতীর পোলট্রিগুলিতেও ছড়িয়েছে বার্ড ফ্লু ভাইরাস। একেই অমরাবতী, যবৎমলে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ ধাক্কা দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, তার মধ্যে বার্ড ফ্লু ভাইরাসে আতঙ্ক আরও বেড়েছে।
করোনা আতঙ্কের মধ্যে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা তথা বার্ড ফ্লু নিয়ে শঙ্কা বেড়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে মৃত পাখিদের নমুনায় অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। বার্ড ফ্লুয়ের কারণেই যে পাখি মৃত্যু হয়েছে সেটা নিশ্চিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, দেশের ৯টি রাজ্যে বার্ড ফ্লু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে যার মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, কেরল, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, হরিয়ানা ও গুজরাট। এই রাজ্যগুলিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি পাখি মৃত্যু হয়েছে হরিয়ানায়। চার লক্ষের বেশি মৃত পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। বেশিরভাগেরই নমুনায় বার্ড ফ্লু ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে হিমাচল প্রদেশে পাখি মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। তাই সতর্কতা জারি করা হয়েছে প্রতিবেশি রাজ্য জম্মু-কাশ্মীরে। বার্ড ফ্লুতে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি রাজ্যে মোট ১২ টি এপিসেন্টার চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখার জন্য দিল্লিতে তৈরি হয়েছে কন্ট্রোল রুম। রাজধানীর সবচেয়ে বড় পোলট্রি মার্কেট রয়েছে গাজিপুরে। সেখানে আপাতত পাখি কেনাবেচা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।