
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ যেমন উদ্যমে চড়েছিল, তেমনিই ধীরে ধীরে নীচে নামল। দিনকয়েক আগে ফের ১৫ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এখন আবার ১২ হাজারে নেমেছে নতুন সংক্রমণ। মৃত্যুও একশোর নীচে নেমেছে। তবে কোভিড অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমেনি। এখনও দেড় লাখের বেশি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যাণ বলছে, দেশে এখন ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার। কোভিড অ্যাকটিভ কেসও বেশি। দেড় শতাংশ ছাড়িয়েছে। মহারাষ্ট্র সহ দেশের সাত রাজ্যে করোনার নতুন স্ট্রেনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরে এক ধাক্কায় ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা লাগামছাড়া হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়লে সংক্রমণের হারও বাড়বে। আর-নম্বর চড়চড়িয়ে উঠবে। তাই ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখাই লক্ষ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রকের।
আজকের করোনা পরিসংখ্যাণে আরও একটা ভাল দিক হল, মৃত্যুহার কমে যাওয়া। গত দুই সপ্তাহে সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা দুশো ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এখন আবার একশো জনের নীচে নেমে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৯১ জনের।
গতকাল ১ মার্চ থেকে তৃতীয় পর্বের টিকাকরণ শুরু হয়ে গেছে দেশে। গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়েছিলেন। আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধনের টিকা নেওয়ার কথা আছে। জানা গেছে, দিল্লির হার্ট অ্যান্ড লাঙ ইনস্টিটিউট থেকে কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ নেবেন তিনি।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে টিকা নেওয়ার জন্য নাম রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছিল আরোগ্য সেতু ও কোউইন ২.০ অনলাই পোর্টালে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি প্রথম দিনেই ২৯ লাখ মানুষ নাম লিখিয়ে ফেলেছেন। ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা ছাড়াও এই পর্বে টিকার ডোজ নেবেন ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সীরা যাঁদের শরীরে কো-মর্বিডিটি তথা কোনও ক্রনিক রোগ রয়েছে। কোউইন অ্যাপে সচিত্র পরিচয়পত্র দিয়ে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে অনস্পট রেজিস্ট্রেশনও হবে। বয়স্করা তাঁদের পছন্দমতো টিকাকরণ কেন্দ্র বেছে নিতে পারবেন। আজ সকাল ৯টা থেকে রেজিস্ট্রেশন চলছে।
দেশের ১০ হাজার সরকারি হাসপাতাল ও ২০ হাজার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টিকার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যেই টিকা দেওয়া হবে। তবে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে টিকার দাম পড়বে ২৫০ টাকা। ভ্যাকসিনেশন চার্জ ১০০ টাকা।