
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা সংক্রমণ হুড়হুড়িয়ে বাড়ছে দেশে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। দেশে সংক্রমণের হারও বেশি। এমন পরিস্থিতিতে টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় গতি আনারই চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার জন্য এবার কর্মক্ষেত্রেও টিকাকরণ চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী ১১ এপ্রিল থেকে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এই কর্মসূচী চালু করা হবে। কর্মীদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলোকে।
লকডাউন এখনই পুরোমাত্রায় চালু করার পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের। রাজ্যগুলিতে স্থানীয় স্তরে লকডাউন বা নাইট কার্ফু জারি করা হয়েছে। তাই সংক্রমণের মধ্যেও প্রতিদিন বহু মানুষকে অফিসে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বাসে-ট্রেনে চাপতেও হচ্ছে। সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় থেকেই যাচ্ছে। তাই সেসব অফিস তাদের কর্মীদের টিকাকরণে ইচ্ছুক তারা এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের তরফে প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি অফিস, দুই ক্ষেত্রেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
কর্মক্ষেত্রে কারা টিকা নিতে পারবেন, কী নিয়ম?
সরকারি তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্যই এই ব্যবস্থা। কোমর্বিডিটির রোগী বা যাদের কোমর্বিডিটি নেই, উভয়েই টিকা নেওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ১৯৭৭ সালের ১ জানুয়ারির আগে যাদের জন্ম, তাদের টিকাকরণের জন্য বেছে নেওয়া হবে। অফিসে এমন ১০০ জন অন্তত পাওয়া যাবে যাঁদের বয়স ৪৫ বছর বা তার বেশি, তাঁদেরই আগে টিকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করবে সংস্থাগুলি।
শুধুমাত্র অফিস কর্মীদের জন্যই টিকাকরণের ব্যবস্থা থাকবে। কর্মীদের পরিবারের লোকজন বা বাইরের কেউ এই সুবিধা পাবেন না।
প্রত্যেক অফিসের একজন সিনিয়র কর্মীকে নোডাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হবে যিনি গোটা ব্যবস্থার পরিচালনা করবেন। এই নোডাল অফিসার স্বাস্থ্য দফতর অথবা কোভিড ভ্যাকসিনেশন সেন্টারের (সিভিসি) সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করবেন।
কোউইন পোর্টালের মাধ্যমে অফিস কর্মীরা তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। অনসাইন রেজিস্ট্রেশন করাও যাবে।