
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাস্তা অবরুদ্ধ করে চাক্কা জ্যাম হবে না দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে। শুক্রবার এমনটাই ঘোষণা করল কৃষকদের সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। আগামীকাল শনিবার বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৩টে অবধি চাক্কা জ্যামের ঘোষণা করা হয়েছিল। তার বদলে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের স্মারকলিপি জমা দেবে আন্দোলকারী কৃষকরা।
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত বলেছেন, দিল্লিতে এমনিতেই রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ। আন্দোলন স্থলগুলিতে জল, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। এর পরে আর চাক্কা জ্যাম করে সাধারণ মানুষকে বিপর্যস্ত করার মানে হয় না। বরং নিজেদের অধিকারের কথা বলা হবে অন্য উপায়ে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের ওই ট্র্যাক্টর মিছিলের পরে কৃষক সংগঠনগুলির মঞ্চ, সংযুক্ত কিসান মোর্চা ১ ফেব্রুয়ারি সংসদ অভিযানেরও ডাক দিয়েছিল। কিন্তু ট্র্যাক্টর মিছিল থেকে লাল কেল্লায় হিংসা ছড়ানোর পরে সেই অভিযান বাতিল করা হয়। তার পরেই সোমবার সন্ধ্যায় নতুন কর্মসূচি হিসেবে আগামী শনিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত ৩ ঘণ্টার ‘চাক্কা জ্যাম’-এর ঘোষণা করে কৃষক সংগঠনগুলি।
কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত ও বলবীর সিং বলেছেন, কৃষকরা যে জায়গাগুলিতে অবস্থান করছেন, সেখানে পুলিশ ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে। জল ও বিদ্যুতের সরবরাহও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানা পুলিশ দিল্লির সীমানায় পুলিশ লোহা ও কংক্রিটের ব্যারিকেড তৈরি করে কাঁটাতার দিয়ে আন্দোলনের জায়গাগুলি ঘিরে ফেলেছে। মাটিতে পেরেক পুঁতে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ স্থলগুলিতে জল সরবরাহ বন্ধ, তার থেকে দূষণ ছড়ানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কৃষক নেতাদের অভিযোগ, শৌচালয়ে যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এইসবের প্রতিবাদেই চাক্কা জ্যাম-এর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সোমবার পেশ হওয়া বাজেট নিয়েও কৃষকরা অসন্তুষ্ট হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, বাজেটে কৃষির উন্নয়নে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত বলেছেন, “চাক্কা জ্যামের পরিবর্তে আগামীকাল বিকেল ৩টে নাগাদ আন্দোলনকারী সব কৃষকরা একজোট হয়ে টানা এক মিনিট ধরে গাড়ির হর্ন বাজাবেন। আমরা অনুরোধ করছি সাধারণ মানুষকেও আমাদের পাশে থাকতে। এইভাবেই অহিংস পথে প্রতিবাদ করব আমরা।“