
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ব্রিটেনের রাজমুকুট পাওয়ার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রিন্স উইলিয়ামও নাকি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এপ্রিল মাসে তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কিন্তু সেই ঘটনা সাধারণ মানুষের থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। জানতে পারেনি সংবাদমাধ্যমও। সেই খবরই এবার সামনে এসেছে।
সংবাদসংস্থা দ্য সান জানিয়েছে, কেমব্রিজের ডিউক প্রিন্স উইলিয়াম এপ্রিল মাসে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার আগে মার্চ মাসে আক্রান্ত হন তাঁর বাবা প্রিন্স চার্লস। বাবার থেকেই হয়তো সংক্রমণ ছড়িয়েছিল ৩৮ বছরের উইলিয়ামের মধ্যে। কিন্তু সেই খবর জানানো হয়নি কাউকে। প্রাসাদের বাইরে বের হয়নি সে খবর।
কিন্তু কেন?
জানা গিয়েছে, প্রিন্স উইলিয়াম চাননি এই খবর পেয়ে দেশ ও দেশবাসীর মনে কোনও আতঙ্ক তৈরি হোক। কারণ তার কিছুদিন আগেই প্রিন্স চার্লস আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর প্রিন্স উইলিয়ামের খবর সামনে এলে সাধারণ মানুষের মনে হতে পারত রাজ পরিবারে এত সংক্রমণ ছড়ালে তাঁরা কী ভাবে সুস্থ থাকবেন। তাই এই খবর জানানো হয়নি।
কেনিংস্টন প্যালেসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রিন্স উইলিয়াম বলেছিলেন বাইরে অনেক ঘটনা ঘটছে। এই অবস্থায় তিনি কাউকে উদ্বেগে রাখতে চান না। এমনকি ওই অবস্থাতেই নিজের কাজ চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। সামনা সামনি বৈঠক না করলেও ডিজিটাল মাধ্যমে সব কাজই করেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, প্রাসাদের ডাক্তাররাই উইলিয়ামের চিকিৎসা করেন। প্রাসাদে থাকলেও সেই সময় আইসোলেশনে চলে গিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের কারও সংস্পর্শে আসতেন না। অনলাইনে ভিডিও কলের মাধ্যমেই সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি।
তবে একসময় এই ভাইরাসের কবলে তাঁর শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ হয়েছিল বলে খবর। প্রাসাদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এক সময়ে শ্বাস নিতেও খুব কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। তাই তাঁর চারপাশে যাঁরা ছিলেন সবাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরে ধীরে ধীরে সুস্থ হন তিনি।
২৫ মার্চ মৃদু উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে যান প্রিন্স চার্লস। তার দু’দিন পরেই করোনা আক্রান্ত হন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয় তাঁকে। তারপরে সবার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল প্রিন্স উইলিয়ামকে। তাঁর ৭১ বছর বয়সী বাবা প্রিন্স চার্লস, ব্রিটেনের রাণী ৯৪ বছরের কুইন এলিজাবেথ ও ঠাকুর্দা ৯৯ বছরের প্রিন্স ফিলিপের শরীর নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছিলেন উইলিয়াম। তিনি বলেন, সবাইকে আইসোলেশনে রাখা হবে। প্রত্যেকের শরীরের খেয়াল রাখা হবে। কিন্তু তাঁর নিজের সংক্রমণের খবরই নাকি চেপে যান তিনি।