
আর নম্বর আবারও বাড়ল দেশে, দৈনিক সংক্রমণে দিল্লিকে ছাপিয়ে গেল মহারাষ্ট্র
বিশ্বের করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় ফের দু’নম্বরে উঠে এসেছে ভারত। আমেরিকার পরেই ভারতে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন বলছে, আজকের হিসেবে করোনা সংক্রমণ ৯৩ লাখ ছাড়িয়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কোভিড অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোভিড সংক্রমণের গ্রাফ কখনও নামছে, পরক্ষণেই উঠছে। সংক্রমণের হার কখনও কম, আবার কখনও এক ধাক্কায় বেড়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রের হিসেব বলছে, এতদিন দৈনিক সংক্রমণের হার রেকর্ড করেছিল দিল্লিতে। এবার নতুন সংক্রমণের নিরিখে দিল্লিকেও ছাড়িয়ে গেল মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৪৩ হাজারের কাছাকাছি। গতকালের থেকে কিছুটা কম।
বিশ্বের করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় ফের দু’নম্বরে উঠে এসেছে ভারত। আমেরিকার পরেই ভারতে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন বলছে, আজকের হিসেবে করোনা সংক্রমণ ৯৩ লাখ ছাড়িয়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কোভিড অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। হিসেব বলছে, দেশে এখন করোনা অ্যাকটিভ রোগী সাড়ে চার লাখের বেশি। অ্যাকটিভ কেসের হার ৪.৮৯ শতাংশ।
গত ৩৫ দিনে মহারাষ্ট্রে ফের দৈনিক সংক্রমণ লাগামছাড়া। বৃহস্পতিবারই ১৮ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছিল সংক্রমণ। নতুন আক্রান্ত ৬ হাজারের বেশি। মুম্বইতে দৈনিক সংক্রমণ ফের হাজার ছাড়িয়েছে। এদিকে রাজধানীতেও কোভিড কার্ভ ঊর্ধ্বমুখী। দিল্লির স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, প্রায় ২৮ হাজার রিয়েল টাইম আরটি-পিসিআর টেস্ট হয়েছে। নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে পাঁচ হাজার। কোভিড পজিটিভিটি রেটও বেশি। আজকের হিসেবে ৮.৬৫। বুধবার ছিল ৮.৪৯। দিল্লিতে নাইট কার্ফু চালু হচ্ছে। স্কুল-কলেজ আপাতত সবই বন্ধ। উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া গতকালই বলেছিলেন, ভ্যাকসিন না আসা অবধি স্কুল খোলার কোনও প্রশ্নই নেই।
চিন্তা বাড়াচ্ছে দেশের এফেক্টিভ রিপ্রোডাকশন নম্বর তথা আর নম্বর। গত মাসে আর নম্বর নেমে গিয়েছিল ০.৮৮ পয়েন্টে। দিল্লিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির পরে ফের আর নম্বর বাড়ে ০.৯৫ পয়েন্টে। তবে গত দু’সপ্তাহ আগেও চেন্নাইয়ের ইনস্টিটিউট অব ম্যাথেমেটিক্যাল সায়েন্সের গবেষকরা খবর দিয়েছিলেন আর নম্বর ফের ০.৯০ পয়েন্টে নেমে গিয়েছে। এতদিন এই নম্বরে স্থিতিশীল ছিল, তবে এ সপ্তাহে ফের বেড়ে একের উপর উঠে গেছে। দেশে এখন এফেক্টিভ রিপ্রোডাকশন নম্বর ১.০৪।
COVID-19 Testing Update. For more details visit: https://t.co/dI1pqvXAsZ @MoHFW_INDIA @DeptHealthRes #ICMRFIGHTSCOVID19 #IndiaFightsCOVID19 #CoronaUpdatesInIndia #COVID19 #Unite2FightCorona pic.twitter.com/Rfjo6NuSAR
— ICMR (@ICMRDELHI) November 27, 2020
আর নম্বর একের নিচে নামানোই লক্ষ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। তবেই করোনা ট্রান্সমিশন রেট তথা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার হার কমবে। অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যাও কমে যাবে। কিন্তু দেশের কয়েকটি রাজ্য তথা তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশে আর নম্বর বেড়েছে অনেকটাই। মহারাষ্ট্রেও আর নম্বর ০.৯১ থেকে বেড়ে ১.০৬ পয়েন্টে পৌঁছেছে। দিল্লিতে ০.৮৯, রাজস্থানে ১.০৯ থেকে বেড়ে ১.২২, মুম্বইতে ১.১২।
দেশে সুস্থতার হার ধীর গতিতে বাড়ছে। আজকের হিসেবেও ৯৩ শতাংশেই আটকে আছে কোভিড রিকভারি রেট। ৮৭ লাখ কোভিড রোগী সুস্থ হয়েছেন দেশে। কোভিড টেস্ট আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিশেষত আরটি-পিসিআর টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে সব রাজ্যগুলিতে। আইসিএমআর জানিয়েছে, ১৩ কোটি ৭০ লক্ষের বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আজ অবধি। গতকাল ১১ লাখ করোনা পরীক্ষা হয়েছে দেশে।