
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কী ভয়ঙ্কর! দমবন্ধ হয়ে মৃত্যুর জন্যই কি এইভাবে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল শিশুকন্যাকে? ভাবলেই শিউরে উঠছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হতবাক পুলিশও।
তিনখানা মোটা বস্তায় মুড়ে শিশুকন্যার দেহ রাস্তার ধারে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ভেতরে ছটফট করছে, কাঁদছে কয়েকদিনের একটা শিশু। এমন পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে।
মেরঠ থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরে রাস্তার ধারে বস্তাবন্দি শিশুর দেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয় লোকজনেরাই। বস্তার ভেতরে শিশুটি তখন মৃতপ্রায়। তবে ধুকপুক করছিল প্রাণ। বাঁচার শেষ চেষ্টা চালাচ্ছিল। মেরঠ পুলিশ জানিয়েছে, প্রচণ্ড ঠান্ডায় এভাবে বস্তায় ভরে শিশুটি কেউ বা কারা ফেলে গিয়েছিল নির্জন রাস্তার ধারে। কান্না শুনে ছুটে যান স্থানীয়রাই। তারাই উদ্ধার করে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, শুনশান সড়কের পাশ থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনে ছুটে যান সকলে। খুবই ক্ষীণ স্বরে কান্না ভেসে আসছিল। দেখা যায়, তিনখানা বস্তায় পেঁচিয়ে একটি ফুটফুটে মেয়েকে ফেলে দেওয়া হয়েছে রাস্তায়। একেই প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়েছে। তারপর তিনখানা মোটা বস্তার ভেতরে শিশুটির তখন প্রায় দমবন্ধ হতে বসেছে। ফুঁপিয়ে কেঁদে চলেছে সে। আর কিছুক্ষণ দেরি হলে হয়তো বাচ্চাটাকে বাঁচানো যেত না।
পেয়ারেলাল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে শিশুটির। ডাক্তাররা বলেছেন, একদম সুস্থ আছে ছোট্ট মেয়েটা। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে।
উত্তরপ্রদেশে গত বছর একটি শিশুকন্যাকে উদ্ধার করা হয়েছিল কবরের ভেতর থেকে। বড় মাটির পাত্রের ভেতরে ভরে তিন ফুট নিচে জীবিত শিশুটিকে পুঁতে দিয়ে গিয়েছিল তার পরিবার। এমন নৃশংস ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে দেশের নানা জায়গায়। কখনও সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে প্লাস্টিকে ভরে আবর্জনার স্তুপে ফেলে দিচ্ছে তারই মা, বাবা। আবার কখনও ব্যাগে ভরে রাস্তার ধারে ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে একরত্তি মেয়েকে। গর্ভেই কন্যাভ্রূণ হত্যার নানা খবর এখনও সামনে আসে। আইনি কঠোরতা, প্রচার সত্ত্বেও লিঙ্গবৈষম্যের এক ভয়ঙ্কর বিষ ছড়িয়ে রয়েছে সমাজে। যাকে রোখা যাচ্ছে না কোনওভাবেই।