দ্য ওয়াল ব্যুরো: তাঁর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে হাজার খানেক এফআইআর-এর ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামী। কিন্তু রিপাবলিক টিভির সম্পাদকের সেই আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি এমআর শাহের বেঞ্চে অর্ণব মামলার শুনানি ছিল। দুই বিচারপতির বেঞ্চ সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। তবে তাঁর রক্ষা কবচের মেয়াদ আরও তিন সপ্তাহ বাড়িয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ, এই সময়ে তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। সেইসঙ্গে মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, অর্ণবের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রায় হাজার মামলা দায়ের হয় মে মাসের গোড়ায়। আদালত জানিয়েছে, কেবল নাগপুরে দায়ের হওয়া যে অভিযোগ মুম্বই পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে তা নিয়েই তদন্ত করতে যাবে। বাকি কোনও এফআইআর নিয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তদন্ত এগোনো যাবে না।
রিপাবলিক টিভির প্রধান সম্পাদক অর্ণব গোস্বামী তার টিভি চ্যানেলে একটি লাইভ শো থেকে মহারাষ্ট্রের পালঘরে ঘটে যাওয়া সাধুদের ওপর গণহত্যার সমালোচনা করতে গিয়ে বলে বসেন, অন্তর্বর্তী কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী এই ‘হিন্দু’ সাধু হত্যায় খুশি হয়েছেন। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে কংগ্রেসের সর্বস্তরের কর্মীরা।
যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রের প্রতিটি জেলায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কংগ্রেস অভিযোগ করে, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ উস্কে দেওয়ার এবং মিথ্যা খবর ছড়িয়েছেন অর্ণব।
এই ঘটনার পরেই অফিস থেকে নিজের বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হন তিনি, এমনটাই অভিযোগ করেন রিপাবলিক টিভি সম্পাদক অর্ণব গোস্বামী। তাঁর দাবি, আক্রমণকারীরা স্বীকারও করেছে যে তারা কংগ্রেস দলের সমর্থক।
কংগ্রেস সেই অভিযোগ অস্বীকার করে। সারা দেশে মামলা করা শুরু হয় অর্ণবের বিরুদ্ধে। বাদ ছিল না বাংলাও। এন্টালি থানায় অর্ণবের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে অর্ণবকে গ্রেফতারের দাবি করেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অর্ণব।