
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোভিড ১৯ সংক্রান্ত গাইডলাইন না মানায় নাংলোই এলাকার দুটি সান্ধ্যকালীন বাজার বন্ধ করে দিল পশ্চিম দিল্লি জেলা প্রশাসন। সামাজিক দূরত্ব না মানা ও মাস্ক না পরার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
রবিবার পশ্চিম দিল্লির ডিস্ট্রিক্ট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি একটি নির্দেশিকা জারি করে এই ঘোষণা করেছে। পাঞ্জাবি বসতি বাজার ও জনতা বাজার আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
এই আধিকারিক জানিয়েছেন, “সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও অন্যান্য কোভিড ১৯ গাইডলাইন মেনে চলা। কিন্তু ওই দুই বাজারে দোকানদার ও ক্রেতা উভয়ের তরফেই এইসব নির্দেশিকা মেনে চলা হয়নি। প্রশাসনের তরফে বারবার সতর্ক করার পরেও এই নিয়ম ভাঙা হয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
জেলা আধিকারিক ও উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের দল দুই বাজারে গিয়ে তা বন্ধ করা ও বাজারের মধ্যে থাকা ব্যক্তিদের বের করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। প্রতিদিন সন্ধেবেলা প্রায় ২০০ জন বিক্রেতার এখানে দোকান ছিল।
অথচ দু’দিন আগেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, তাঁর সরকার কোনও বাজার বন্ধ করতে চায় না। সেইসঙ্গে বাজার এলাকায় সংক্রমণ রোখার জন্য বাজারের সংগঠনগুলির কাছে সরকারকে সাহায্য করার কথাও বলেন তিনি। তবে মঙ্গলবার কেন্দ্রের কাছে কেজরিওয়াল অনুমতি চান, রাজ্যকে যেন এই অধিকার দেওয়া হয় যাতে কোনও জায়গায় সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিধিনিষেধ জারি করতে পারে রাজ্য।
দিল্লিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, দিল্লিতে ইতিমধ্যেই করোনার তৃতীয় ওয়েভ শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে রাজধানীর মৃত্যুহার ১.৫৮ শতাংশ হয়েছে, যেখানে জাতীয় মৃত্যুহার ১.৪৮ শতাংশ।
শুধুমাত্র নভেম্বর মাসেই এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে ১৭৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২১ দিনে প্রতিদিন গড়ে ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ১০ দিনে প্রতিদিন ১০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে দিল্লিতে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ যাতে আর না বাড়ে তার জন্য একাধিক কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। তার মধ্যে এই দুটি বাজার বন্ধের সিদ্ধান্তও রয়েছে।