
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জুন মাসে ব্রিটেনের কর্নওয়েল প্রদেশে হতে চলেছে জি৭ বৈঠক। সেই বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ব্রিটেন। এই বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের। এই বৈঠকের আগে হয়তো ভারত সফরে আসতে পারেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্রিটেনে করোনার নতুন স্ট্রেনের সংক্রমণ শুরু হওয়ায় সেই সফর বাতিল হয়েছে।
এই বৈঠকে ভারত ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ব্রিটেনের তরফে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, “জি৭-এর প্রতিনিধি হিসেবে করোনা পরবর্তী এক উন্নত পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য ডাকা এই বৈঠকে যোগ দিতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পারস্পরিক সম্পর্ক আরও উন্নত করার জন্য আরও দুই দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।”
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক আরও বাড়াতে চাইছে ভারত ও ব্রিটেন। এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “বিশ্বের ৫০ শতাংশের বেশি ওষুধ ভারত তৈরি করে। এই অতিমারীর মধ্যে ভারত ও ব্রিটেন একসঙ্গে লড়াই করছে। আমাদের দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা বারবার নিজেদের মধ্যে কথা বলেছেন। বরিস জনসন জি৭ বৈঠকের আগে ভারত যাবেন বলে জানিয়েছেন।”
ব্রিটেনে করোনার নতুন স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়ার পরে দু’সপ্তাহের উপর ব্রিটেনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। শুধু ভারতই নয়, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই এই যোগাযোগ বন্ধ করে। অবশ্য সম্প্রতি সেই পরিষেবা নতুন করে শুরু হয়েছে।
এই বছর ২৬ জানুয়ারি প্রধান অতিথি হিসেবে আসার কথা ছিল বরিস জনসনের। কিন্তু ব্রিটেনে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরে বাধ্য হয়েই সেই সফর বাতিল করেন জনসন। সেই সময় ব্রিটেনের তরফে জানানো হয়, এই মুহূর্তে অন্য দেশে না গিয়ে নিজের দেশে থেকেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও জুনের আগে তিনি ভারতে আসবেন বলেই জানিয়েছেন।