
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪৬টি দেশে কোভিডের সংক্রমণ রোধে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। যদিও অনেক দেশে এখনও তা শুরু হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর প্রধান টেড্রস আধানম আবার জানিয়েছেন, বিশ্বের সব দেশেই টিকাকরণ হবে। হু এই বিষয়ে নজর দেবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। অন্যান্য দেশকে টিকা দিয়ে সাহায্য করার জন্য বিশ্বের অনেক উন্নত দেশকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন আধানম। আর সেই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ায় ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করলেন টেড্রস আধানম।
শনিবার হু প্রধান টুইট করে বলেন, “বিশ্বজুড়ে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার জন্য ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ। শুধুমাত্র যদি আমরা একসঙ্গে কাজ করি, নিজেদের শিক্ষা ও জ্ঞান একে অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারি তবেই আমরা এই ভাইরাসকে রোধ করতে পারব।”
কয়েক ঘণ্টা আগে ভ্যাকসিন দিয়ে সাহায্য করার জন্য অনেকটা একই রকমের টুইট করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জায় বলসোনারো। তিনি বলেন, “নমস্কার, কোভিডের মতো একটা অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের মতো একটা দেশকে সহযোগী হিসেবে পাশে পেয়ে ব্রাজিল গর্বিত। ভারত থেকে ব্রাজিলে ভ্যাকসিন পাঠানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ।”
শুক্রবার ভারত থেকে কোভিশিল্ডের ২০ লাখ ডোজ ব্রাজিলে পাঠানো হয়েছে। শুধু ব্রাজিল নয়, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মলদ্বীপ, মায়ানমার ও সিসিলিতে কোভিশিল্ডের প্রায় ৩২ লাখ ডোজ পাঠিয়েছে ভারত। এরপরে মরিশাস, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকেও ভ্যাকসিন দিয়ে ভারত সাহায্য করবে বলে জানানো হয়েছে।

কিছু দিন আগেই টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, বিশ্বের একাধিক দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পেরে ও বিশ্বের প্রয়োজনের সময় কাজে আসতে পেরে ভারত গর্বিত। আমরা আশা করছি আগামী দিনেও এই কাজ আমরা চালিয়ে যেতে পারব। আগামী দিনে আরও অনেক দেশে ভ্যাকসিন পাঠাব আমরা।
কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে দেশের প্রয়োজন মেটানোর পরেই পর্যায় গত ভাবে বিভিন্ন দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী ভ্যাকসিন পাঠাবে ভারত। একটি বিবৃতি দিয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশ থেকে ভ্যাকসিন পাঠানোর জন্য তাদের কাছে আবেদন আসছে। সেই আবেদন খতিয়ে দেখে ভ্যাকসিন পাঠিয়ে সাহায্য করবে ভারত।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর টুইট করে বলেন, “মানবতাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করছে ভারত। ২০ জানুয়ারি থেকে প্রতিবেশীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে। কোভিড চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বিশ্বের সবথেকে বড় ওষুধ প্রস্তুতকারক দেশ থেকেই ভ্যাকসিন যাবে।”
অবশ্য তার জন্য যাতে ঘরোয়া চাহিদায় কোনও প্রভাব না পড়ে সেদিকে নজর দেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, আগে ভারতের চাহিদা মেটানোর পরেই অন্য দেশের চাহিদা মেটানো হবে। তবে এই ভ্যাকসিন পাকিস্তান পাবে না বলেই জানা গিয়েছে। কারণ এখনও তারা ভারতের কাছে কোনও আবেদন করেনি। যে সব দেশ আগে আবেদন করেছে তাদের দেওয়া হবে ভ্যাকসিন।