
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনার টিকা চলে আসবে আগামী বছর জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যেই। টিকা সুরক্ষিত ও নিরাপদও হবে, চিন্তার কোনও কারণ নেই, আশ্বস্ত করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন।
বিশ্বে এখন ১০০ রকম করোনার টিকা তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে ৩০টি ভারতেই। হর্ষবর্ধন বলেছেন, দেশে পাঁচ রকমের ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। তিন কোম্পানির টিকা তাদের চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। যদিও সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছিল, সব ঠিক থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যেই টিকা নিয়ে আসতে পারে তারা। জরুরি ভিত্তিতে টিকাকরণের জন্য কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাবও পাঠিয়েছিলেন সেরামের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা। অন্যদিকে, ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকা আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে চলে আসতে পারে বলে জানা গিয়েছিল। ভারত বায়োটেকও জানিয়েছে, টিকর সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে আগামী বছরের শুরুতেই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, সব ঠিক থাকলে বছরের মাঝামাঝি একাধিক টিকা চলে আসতে পারে দেশের বাজারে।
টিকার বন্টন ব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই গাইডলাইন তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন, হর্ষবর্ধন। তাঁর কথায়, টিকা কী পরিমাণে রাজ্যগুলিতে বিতরণ করা হবে, টিকার অগ্রাধিকার কারা পাবেন, সে বিষয়ে নামের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। ১৩৫ কোটির দেশে সকলেই প্রথম ধাপে টিকা পাবেন সেটা সম্ভব নয়। ৩০ কোটিকে আগে দেওয়া হবে টিকা। পেশা ও প্রয়োজনের গুরুত্ব বুঝেই টিকার অগ্রাধিকারের তালিকা ঠিক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
হর্ষবর্ধন বলছেন, সারা বিশ্বে ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বিতরণে শীর্ষেই রয়েছে ভারত। বিশ্বের বাজারে ৬০ শতাংশ ভ্যাকসিন যায় ভারত থেকেই। তাই করোনার টিকাও পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন ও সঠিকভাবে বিতরণ করা হবে। টিকা সম্পর্কিত সব তথ্য জানতে কেন্দ্রের ইলেকট্রনিক ভ্যাকসিন ইনটেলিজেন্স নেটওয়ার্ককে কোভিন প্ল্যাটফর্মে বদলে দেওয়া হয়েছে। এই ডিজিটাল নেটওয়ার্ক থেকেই করোনার টিকা ও তার বন্টন ব্যবস্থা নিয়ে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন সাধারণ মানুষ। এসএমএসের মাধ্যমে তথ্য পাঠানো হবে। কতজনকে টিকা দেওয়া হল, কোন রাজ্যের কোথায় টিকাকরণ চলছে, কখন টিকা দেওয়া হচ্ছে ইত্যাদি যাবতীয় খবর পাওয়া যাবে।
৩০ কোটির মধ্যে আগেই টিকা পাবেন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা, বলছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এরপরে পুরসভার কর্মীরা, পুলিশ, প্রশাসনের কর্তারা এবং সশস্ত্র বাহিনীকে টিকা দেওয়া হবে। ৫০ বছরের উপরে প্রবীণরা থাকবেন অগ্রাধিকারের তালিকায়, আবার ৫০ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে যাঁদের শরীরে কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁরাও আগে টিকার সুবিধা পাবেন। স্পেশাল ক্যাটেগরিতে থাকবেন ৫০ বছর বয়সের কমবয়সীরা যাঁদের শরীরে হার্টের রোগ, ক্রনিক লিভার ও কিডনির রোগ, হাইপারটেনশন, ফুসফুসের সংক্রমণ, ডায়াবেটিসের মতো রোগ রয়েছে।