
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সামনে একুশের ভোট। আর এই নির্বাচনের বছরের পদ্ম পুরস্কারের তালিকায় দেখা গেল বাংলার সাত জন জায়গা পেয়েছেন। যা দেখে অনেকেই বলছেন, ভোট বছরে বোধহয় বাংলার জন্য এবার বেশি উদার কেন্দ্রীয় সরকার!
পদ্মশ্রী তালিকায় নাম রয়েছে বাঁটুল দ্য গ্রেট, হাঁদা-ভোঁদা, নন্টে-ফন্টের স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথ। তা ছাড়া তালিকায় রয়েছেন ধর্মনারায়ণ বর্মা। কামতাপুরি ভাষার প্রসারে তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে পদ্মশ্রীর জন্য মনোনীত করেছে ভারত সরকার। শান্তিপুরের তাঁত শিল্পী বীরেনকুমার বসাক। তিনিও সম্মান পাচ্ছেন শিল্প বিভাগে। টেবিলে টেনিস তারকা মৌমা দাসকেও পদ্মশ্রী দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া সাহিত্য ও শিক্ষা বিভাগে পদ্মশ্রী পাচ্ছেন সুজিত চট্টোপাধ্যায় ও জগদীশচন্দ্র হালদার। বর্ধমানের শিক্ষক সুজিত চট্টোপাধ্যায় বছরে মাত্র ২ টাকার বিনিময়ে প্রায় ৩০০ ছাত্রছাত্রীকে নিজের বাড়িতে পড়ান। তাঁর স্কুলের নাম সদাই ফকিরের পাঠশালা। সমাজসেবার অনন্য নজির রাখার জন্য ভারত সরকার পদ্মশ্রী দিয়ে সম্মানিত করছে আদিবাসী সমাজের গুরুমা কমলি সোরেনকে।
অনেকের মতে, সব দিক বিবেচনা করেই এই তালিকা করা হয়েছে। এমনিতে নেতাজি জয়ন্তী থেকে বিবেকানন্দের জন্ম জয়ন্তী উদযাপন– বাংলায় এখন সব কিছুকেই রাজনীতির সঙ্গে বলা ভাল ভোটের সঙ্গে জুড়ে দেখা হচ্ছে। তা থেকে বাদ গেল না পদ্মশ্রী তালিকাও।

অনেকের মতে ধর্মনারায়ণ বর্মাকে সম্মান দিয়ে উত্তরবঙ্গের মানুষের আবেগ ধরার চেষ্টা রয়েছে। একই ভাবে আদিবাসী সমাজের গুরুমাকেও তালিকায় রাখা পশ্চিমাঞ্চল ও ডুয়ার্সের মন জয় করার কৌশল।
যদিও বিজেপির এক মুখপাত্র বলেন, “এর সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। পদ্ম পুরস্কারের জন্য সরকারের কমিটি রয়েছে। তাঁরাই এই নামের তালিকা চূড়ান্ত করে।