
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গুরুতর সংকটে কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচ প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না পিকে। সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে।
সোমবার সন্ধেবেলা যে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ চিকিৎসকদের অনেক চেষ্টার পরেও চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না তিনি। কিন্তু চিকিৎসকদের দল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পিকের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর পরিবারকে।
পিকের শারীরিক অবস্থার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান তাঁর ভাই তথা সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। ফুটবলারের শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। পরে সাংবাদিকদের সামনে অরূপ বিশ্বাস বলেন, “আমরা ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই সব ব্যাপারে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ডাক্তাররা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। আমরা পিকের পরিবারের পাশে আছি। আমাদের লড়াই এখনও জারি আছে।”
হাসপাতালের তরফে ডাক্তার কুণাল সরকার বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতিই হয়েছে। তাঁর ব্লাড প্রেসার ও অক্সিজেনের মাত্রাও কিছুটা কমেছে। আজ সকাল থেকে চিকিৎসায় সেভাবে সাড়া দিচ্ছেন না উনি। কিন্তু আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ফুল ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে ওনাকে। সব অঙ্গ ঠিকভাবে কাজ করছে না। কিন্তু আমরা হাল ছাড়িনি। এখনও উনি আমাদের মধ্যেই আছেন। ওনার প্রধান সমস্যা হচ্ছে হৃদযন্ত্র ও শ্বাসযন্ত্রের। এছাড়া পারকিনসন্স ডিজিজও আছে। কাল সকালেই সবটা স্পষ্ট হবে।”
এমনিতেই হৃদরোগে ভুগছেন পিকে। এছাড়াও রয়েছে স্নায়ুর সমস্যা। সেটা অনেকটাই বেড়ে যাওয়ায় কলকাতা ময়দান কাঁপানো কোচ পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। দু’সপ্তাহ আগে হঠাৎই সল্টলেকের বাড়িতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাঁকে বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তাঁকে পালমোনোলজিস্ট নন্দিনী বিশ্বাস, ইন্টার্নাল মেডিসিন ডাক্তার তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়, এল এন ত্রিপাঠি এবং সুনন্দন বসুদের নিয়ে তৈরি মেডিক্যাল টিম চিকিৎসা করছেন।