
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শরীরের নীচের অংশ পুরোটাই অকেজো। হুইলচেয়ার ছাড়া একটুও চলতে পারেন না সেই কোন ছোটবেলা থেকে। তবু অদম্য জেদেই হুইলচেয়ারে বসে ক্রিকেট খেলে তেরঙা পতাকা উড়িয়েছেন বহু টুর্নামেন্টে। ছিলেন ভারতীয় হুইলচেয়ার ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেনও। উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলার রাজেন্দ্র সিং ধামিকে এখন লড়তে হচ্ছে তীব্র অনটনের সঙ্গে।
কোভিড অতিমহামারীতে ব্যাপক সংকটে এই ক্রিকেটার। বাধ্য হয়ে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ছেনি-হাতুড়ি দিয়ে ইট ভাঙতে হচ্ছে তাঁকে। সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি জানিয়েছেন, “আমি সরকারকে বলেছিলাম, আমার যা যোগ্যতা সেই অনুযায়ী একটা কাজের ব্যবস্থা করে দিতে। কিন্তু এখনও কোনও সুরাহা হয়নি। খেয়ে-পরে তো বাঁচতে হবে! তাই এই কাজই করছি।”
একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কোনও রকমে একটি জায়গায় পা ছড়িয়ে বসে ইট ভাঙছেন রাজেন্দ্র। এই ছবিই তোলপাড় ফেলে দিয়েছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসনে। পিথোরাগড়ের জেলাশাসক বিজয় কুমার জোগদান্দে বলেছেন, “আমরা এই খবর পাওয়ার পরই জেলা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনকে নির্দেশ দিয়েছি তাঁকে যেন আপাতত কিছু অর্থ সাহায্য করা হয়। তারপর তাঁর একটা স্থায়ী কাজের একটা ব্যবস্থা আমরা করছি।”
এমনিতে লকডাউন এবং কোভিড পরিস্থিতিতে সার্বিক ভাবেই সংকট তৈরি হয়েছে। সারা বিশ্বের অর্থনীতি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। বাদ নয় ভারতও। বহু ছোট-বড় সংস্থায় দেদার কর্মী ছাঁটাই চলছে। প্রায় সর্বত্রই বেতন সঙ্কোচন করা হয়েছে।
ক্রীড়াক্ষেত্রের অনেককেই অনটনের মধ্যে পড়তে হয়েছে। মূল ধারার খেলাধূলার বাইরে অন্য ক্ষেত্রগুলিতে সংকট বেশ তীব্র। বাংলাতেও দেখা গিয়েছে মোহনবাগান জুনিয়র দলের ডিফেন্ডার হুগলির কোন্নগরের কানাইপুরে রাস্তার ধারে প্লাস্টিক পেতে বসে সবজি বিক্রি করছে। একই ছবি ধরা পড়ল উত্তরাখণ্ডেও। যদিও পিথোরাগড় জেলা প্রশাসন বলছে, দ্রুত এই হুইলচেয়ার ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়কের একটি কাজের ব্যবস্থা তারা করবে।