
রাজস্থানের বিরুদ্ধেও জয় এল না, হাফ ডজন হার নাইট রাইডার্সের
দ্য ওয়াল ব্যুরো : মরসুম শুরুর সময় এ দৃশ্য দেখতে হবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি কোনও নাইট রাইডার্স সমর্থক। মার্সিডিজের গতিতে চলতে থাকা দলটা যেন হঠাৎ করেই গরুর গাড়ি। হোম-অ্যাওয়ে একের পর এক হার। লিগে টিকে থাকার শেষ সুযোগ ছিল রাজস্থানের বিরুদ্ধে। একার কাঁধে কিছুটা চেষ্টাও করেছিলেন দীনেশ কার্তিক। কিন্তু যে দলটার আত্মবিশ্বাস তলানিতে, সে দলের কাছে আর কীই বা আশা করা যেতে পারে। রাজস্থানের কাছেও হারলেন কার্তিকরা। এই হারের সঙ্গে চলতি মরসুমে টানা হাফ ডজন হারের মুখোমুখি হলো নাইট রাইডার্স।
এ দিন ঘরের মাঠে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে কলকাতা। কিন্তু প্রথম থেকেই উইকেট পড়া শুরু। মাঝে দীনেশ কার্তিক ও নীতীশ রাণা মিলে কিছুটা সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু রাণা আউট হতেও সেই এক ছবি। নাইটদের তুরুপের তাস রাসেলও এ দিন ব্যর্থ। এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অধিনায়কের মতো ইনিংস খেললেন কার্তিক। তাঁর ৫০ বলে ৯৭ রানের দৌলতে ১৭৫ তোলে কলকাতা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা রাহাণে ভালো করলেও মাঝে উইকেট পড়তে থাকে। দুই স্পিনার নারিন ও চাওলা ভালো বল করেন। স্টোকস আউট হওয়ার পর মনে হয়েছিল এই ম্যাচে হয়তো জয় পাবে নাইটরা। কিন্তু সেই এক দোষ। শেষে এসে খেই হারিয়ে ফেলা। শেষ পাঁচ ওভারে দরকার ছিল ৫৪। চার বল বাকি থাকতেই সেই রান তুলে নিল রাজস্থান। প্রথমে রিয়ান পরাগ ও তারপর জোফ্রা আর্চার। দু’জনে মিলেই ম্যাচ শেষ করে দিলেন।
কিন্তু হারের থেকেও এখন বড় প্রশ্ন উঠছে নাইটদের ড্রেসিং রুম নিয়ে। মরণ-বাঁচন ম্যাচের আগে বিদেশিরা যেখানে ইডেনে প্র্যাকটিস করছেন, সেখানে দেশীয় ক্রিকেটাররা প্র্যাকটিস করছেন মুম্বইয়ে। একজন বাচ্চাও বলে দেবে এই দলটার মধ্যে কতটা একতা রয়েছে। আর একতা না থাকলে, টিমের মতো না খেললে কোনও দিন ম্যাচ জেতা যায় না। সেটাই হলো। নাইট রাইডার্স ম্যানেজমেন্টের এ বার ভাবার সময় এসেছে। কত আর বিদেশি খেলোয়ারদের ভরসায় থাকবেন। চেন্নাই, মুম্বই, দিল্লিরা কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের জোরেই এগিয়ে যাচ্ছে।