
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যতদিন যাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে। উৎসবের মরসুম যত এগিয়ে আসছে তত এই ছবিটা আরও স্পষ্ট হচ্ছে। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে। চতুর্থীতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছিল ৪০২৯ জন। পঞ্চমীতে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়েছে। আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা কম হওয়ায় অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে রাজ্যে।
বুধবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০৬৯। এর ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ১২৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থও হয়ে উঠেছেন ৩৫৯৬ জন। তার ফলে বাংলায় এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ৯১ হাজার ৩০৩ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৭.৪৫ শতাংশ। অর্থাৎ এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট ৩৫ হাজার ৫৭৯ জন অ্যাকটিভ রোগী রয়েছেন। বাংলায় অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথেই কমছে সুস্থতার হার।
বুলেটিন জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় ৬৪ জন মারা গিয়েছেন। এর ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়ে হয়েছে ৬২৪৪ জন। তার মধ্যে ৫২৭৬ জন অর্থাৎ ৮৪.৫ শতাংশ রোগীর মধ্যে কোমর্বিডিটির সমস্যা ছিল।
এদিন সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যভবন যে বুলেটিন দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে কলকাতায়। এই জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭৯ জন। এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে নতুন সংক্রামিতের সংখ্যা ৮৭২ জন। কলকাতায় এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭২ হাজার ৩৪১ জন। অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনায় মোট সংক্রামিত হয়েছেন ৬৭ হাজার ৩৮১ জন।
তবে উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতা দুই জেলা মিলিয়ে একদিনে সুস্থও হয়েছেন ১৫৮৭ জন। কলকাতায় একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৭৯৫ জন এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ৭৯২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সব জেলাতেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। পাহাড় থেকে জঙ্গলমহল কোনও জেলাই বাদ নেই।
করোনায় মৃতের সংখ্যা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় সবথেকে বেশি। দুই জেলাতেই ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭, হাওড়ায় ও হুগলিতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে রাজ্যের ৯ জেলায় একদিনে করোনা আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে স্যাম্পল টেস্ট হয়েছে ৪৩ হাজার ৫৯২ টি। এখনও পর্যন্ত মোট স্যাম্পল টেস্ট হয়েছে ৪১ লাখ ২২ হাজার ২৪৩ টি। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের পজিটিভিটি রেট ৮.০৮ শতাংশ।