
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘বহিরাগত’ পোস্টার নিয়ে তাত্পর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন বালির তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। যা শুনে অনেকেই বলছেন, কেমন যেন অন্য সুর মনে হচ্ছে!
কী বলেছেন বৈশালী?
সংবাদমাধ্যমে প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়ার কন্যা বলেছেন, “এরা (পড়ুন তৃণমূল) তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই বহিরাগত বলেন। জানেনই না প্রধানমন্ত্রী আমাদের পরিবারের প্রধান। বাইরের রাজ্য থেকে কেউ এলেই তাঁকে বহিরাগত বলা হচ্ছে। ভারতবর্ষ যে একটা দেশ এটাই মানতে চায় না। যখন প্রধানমন্ত্রীকেই বহিরাগত বলা হচ্ছে আমি তো কোন ছাড়!”
দুদিন আগে বালি বাদামতলা এলাকা ছেয়ে গেছিল পোস্টারে। তাতে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ দিদির উদ্দেশে লিখেছিলেন, এবার কোনও বহিরাগত নয়। বালির মানুষকেই প্রার্থী করতে হবে।
তারপর বৈশালী বলেছিলেন, তিনি বহিরাগত নন। বালিতে তাঁর বাড়ি রয়েছে, সম্পত্তি রয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মণ শেঠ কি এবার তৃণমূলে? দুপুরে একই মঞ্চে কুণালের সঙ্গে
এমনিতে শোনা যায় বিধায়ককে নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ রয়েছে বালির তৃণমূলে। তা যে নতুন তাও নয়। ষোলোর ভোটের কয়েক মাস পর থেকেই তা শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে দলের বর্ষীয়ান নেতাদের বাইপাস করে তিনি অনুগামীদের নিয়ে সব সিদ্ধান্ত করছেন।
যদিও দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব এ নিয়ে বিশেষ গা করেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে। তা ছাড়া জুলাইয়ের সাংগঠনিক রদবদলে হাওড়া জেলা তৃণমূলে গুরুত্ব দেওয়া হয় বৈশালীকে।
কিন্তু তিনি হঠাত্ বহিরাগত প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে টানলেন কেন?
যখন গোটা তৃণমূল আদাজল খেয়ে অমিত শাহ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সুনীল দেওধর, অমিত মালব্যদের বহিরাগত বলছে তখন বৈশালীর এই মন্তব্যে অনেকেই অন্য সুর শুনতে পাচ্ছেন। কৌতূহলীদের অনেকের প্রশ্ন, তাহলে কি গেরুয়া শিবিরকে কোনও বার্তা দিতে চাইলেন বৈশালী? যদি তৃণমূল টিকিট না দেয় তার পরের রাস্তা খুলে রাখতে চাইলেন?