
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব মেদিনীপুরঃ ফের একবার বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতেই ওই বিজেপি কর্মী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নায়। এই ঘটনার পরেই এলাকায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় টহল শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না থানার খিদিরপুর এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, শনিবার রাতে তাদের এক কার্যকর্তা দীপক মণ্ডল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থেকে খেলা দেখে ফিরছিলেন। সেই সময় পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমান্তে খিদিরপুর এলাকায় তাঁর উপর হামলা করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়। বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হন দীপক।
গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, দীপকের উপর হামলার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যান বিজেপি কর্মীরা। তাঁরা ওই কার্যকর্তাকে উদ্ধার করে সবং হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তৃণমূল নেতা প্রসাদ অধিকারী ও লালু ভুঁইয়ার নেতৃত্বেই তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী এই হামলা চালিয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ।
বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, পশ্চিমের জেলাগুলিতে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে তৃণমূল। জঙ্গলমহলে তো তাদের সমর্থন নেই। দুই মেদিনীপুরেও সমর্থন হারাচ্ছে শাসক দল। আর তাতেই আতঙ্কিত হয়ে এভাবে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে। কিছুদিন আগে গোঘাট ও মাথাভাঙায় দুই বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। এবার ময়নাতেও একই ঘটনা ঘটল। তবে এর বিরুদ্ধে তাঁরা আন্দোলন করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। যতদিন না অপরাধী ধরা পড়ছে ততদিন আন্দোলন চলবে বলেই জানিয়েছে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব।
শাসক দলের তরফে অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, বিজেপির কর্মীরাই বোমা নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু বোমা ফেটে তাদেরই এক কর্মী নিহত হয়েছে। তাই তারা তৃণমূলের উপর দায় চাপাচ্ছে। পুলিশ সবটার তদন্ত করছে। তদন্ত হলেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।
এই ঘটনার পর থেকে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায় তার জন্য এলাকায় টহল দেওয়া শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।