
দ্য ওয়াল ব্যুরো, কলকাতা ও বীরভূম: বিশ্বভারতী নিয়ে শ্রানিবার জ্যের দুই প্রান্তে দুই কর্মসূচি করল বিজেপি ও বামেরা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৈরি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেনজির তাণ্ডবের ঘটনায় তৃণমূল বিধায়ক-সহ নেতাদের গ্রেফতারির দাবিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে স্মারকলিপি জমা দিল বিজেপির যুব মোর্চা। অন্যদিকে বোলপুরে প্রতিবাদ সভা করল বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই।
এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, “বিশ্বভারতীর জমি দখল করতে তৃণমূল বিধায়কের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে শিক্ষাক্ষেত্রে যে নৈরাজ্য চলছে বিশ্বভারতী তার সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে।” এদিন অনুপম হাজরা, সৌমিত্র খাঁয়েরা দাবি করেন, দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউড়ি-সহ ভাঙচুড়ের ঘটনায় জরিত সকলকে গ্রেফতার করতে হবে।
বোলপুরে এসএফআইয়ের সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক দৃজন ভট্টাচার্য। বিশ্বভারতীর ঘটনায় তৃণমূল ও গেরুয়া শিবিরকে এক যোগে আক্রমণ শানিয়েছে এসএফআই। সৃজন বলেন, “একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়কে আরএসএস-এর আখড়া বানানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূল শিক্ষাঙ্গনে গুন্ডামি করছে। বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য বজায় রাখতে এই দুই শক্তির বিরুদ্ধেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে।”
পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড বেঁধে গিয়েছিল বিশ্বভারতীতে। ঠিকা সংস্থার যন্ত্রপাতি ভাঙচুর, নির্মীয়মাণ পাঁচিল, গেট লণ্ডভণ্ড করার মতো নজিরবিহীন তাণ্ডবের ছবি ধরা পড়ে শান্তি নিকেতনে। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন রাজ্যপাল। পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বৈঠবিশক ডাকেন। কিন্তু সেই বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ যাননি। গত দু’দিন-তিনদিন ধরে বিশ্বভারতীতে নতুন করে কোনও গণ্ডগোল না হলেও পরিস্থিতি একই জায়গায় রয়েছে।