
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার সকাল পর্যন্তও তেমন কোনও সবুজ সঙ্কেত দেননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চিকিৎসকরা। কিন্তু সন্ধেবেলা সিপিএম সূত্রে যা জানা গেল তাতে বাম জনতার আনন্দিত হওয়ার কথা। রবিবার সকাল থেকে যদি বর্ষীয়ান সিপিএম নেতার নতুন করে কোনও সমস্যা না হয় তাহলে কয়েক মিনিটের জন্য ব্রিগেডে আসতে পারেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে সবটাই নির্ভর করছে রবিবার সকালে তাঁর শরীর কেমন থাকে তাঁর উপর।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির গোড়ায় ব্রিগেড করেছিল বামফ্রন্ট। বক্তা তালিকায় বুদ্ধদেববাবুর নাম ছিল না। মাঠে উপস্থিত লক্ষ বাম জনতা জানতেন বুদ্ধদেববাবু আসবেন না। কিন্তু সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ মিরাকল ঘটে যায়। বুদ্ধদেববাবু তাঁর স্ত্রীকে জানান, “আমি পারব। যাব ব্রিগেড।”
তারপর নাকে অক্সিজেনের নল লাগিয়ে পাম এভিনিউ থেকে ব্রিগেডের উদ্দেশে রওনা দেয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয়। ঠিক দশ মিনিট মাঠে দাঁড়ানো ছিল বুদ্ধদেববাবুর গাড়ি। ভিতরেই বসেছিলেন সস্ত্রীক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু দুবছর আগের ব্রিগেড আর এবারের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এর মধ্যে দুবার হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছে বুদ্ধদেববাবুকে। কয়েকমাস আগে উদ্বেগজনক অবস্থা তৈরি হয়েছিল তাঁর।
গত দু’দিন ধরেই সিপিএম নেতৃত্ব চেষ্টা করছিলেন যাতে বুদ্ধদেববাবু ব্রিগেডে আনা যায়। শেষমেশ চিকিৎসকদের অনুমতি মিলেছে বলে খবর সিপিএম সূত্রে। তবে একান্তই যদি কালকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী না আসতে পারেন তাহলে তাঁর লিখিত অথবা অডিও বার্তা শোনানো হতে পারে।
এদিন ব্রিগেড পরিদর্শনে গিয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, “এর আগে কখনও আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে ব্রিগেড করিনি। আইএসএফও লোক আনবে। আরজেডি রয়েছে। ফলে এবারের ব্রিগেড একটা নতুন ব্রিগেড হতে চলেছে।”
যে স্টেজ তৈরি হয়েছে তাতে স্লোগান লেখা হয়েছে ‘আমরাই বিকল্প, আমরাই ধর্ম নিরপেক্ষ, আমরাই ভবিষ্যৎ’