
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আসানসোলের ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালার এখনও নাগাল পায়নি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। তার খোঁজ পেতে বারবার একাধিক ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। শুক্রবার ফের রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, শুক্রবার আসানসোলের কন্যাপুরে লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী জয়দেব মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। সকাল ৯টা নাগাদ সিবিআইয়ের একটি দল সেখানে যায়। কন্যাপুরে জয়দেবের দুটি বাড়ি রয়েছে। সেখানে গিয়ে দুটি বাড়িতেই তল্লাশি শুরু করেন গোয়েন্দারা।
জানা গিয়েছে, কন্যাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ঠিক উল্টোদিকের বাড়িতে প্রথমে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই। তারপরে কাছেই ওই ব্যবসায়ীর আরও একটি বাড়ি ও অফিসে যান আধিকারিকরা। সেখানে প্রয়োজনীয় নথি খতিয়ে দেখেছেন আধিকারিকরা। কথা বলেন বাড়ির লোকেদের সঙ্গেও। যদিও সেখানে তল্লাশিতে কী তথ্য উঠে এসেছে সে বিষয়ে সিবিআই কিছু জানায়নি।
বেশ কয়েক মাস ধরে কয়লা পাচার কাণ্ডে সক্রিয় সিবিআই। আর এই তদন্তে বারবার উঠে এসেছে অনুপ মাঝির নাম। শুধু তাই নয়, তার খোঁজে তল্লাশি করতে গিয়ে আরও অনেক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বেশ কিছু সরকারি আধিকারিকের নামও উঠে এসেছে সিবিআইয়ের খাতায়। লালা ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশির সময় জয়দেব মণ্ডলের নাম উঠে আসে বলে খবর। আগেও বেশ কয়েক বার তার বিরুদ্ধে পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। তাই এদিন তার বাড়িতে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা।
ইতিমধ্যেই লালাকে বহুবার হাজিরা দেওয়ার নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। অনেক বার তার বাড়িতে হানাও দিয়েছেন আধিকারিকরা। কিন্তু তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে লালার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিসও জারি হয়েছে। তাও লালা বেপাত্তা। এখন দেখার এইসব হানা থেকে লালা সম্পর্কে আর কী তথ্য উঠে আসে সিবিআইয়ের হাতে।