
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্ত গতি এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার হদিশ না মেলা পর্যন্ত তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি, অফিসে হানা ও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। কিছুদিন আগেই আসানসোলের এক ব্যবসায়ীর বাড়ি-অফিসে তল্লাশি চালিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এবার কলকাতার এক ব্যবসায়ীকে তলব করেছে তদন্তকারী সংস্থা।
শুক্রবার লালা ঘনিষ্ঠ কলকাতার ব্যবসায়ী রণধীর বার্নওয়ালের বাঁশদ্রোণীর বাড়ি ও অফিসে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। তারপরেই শনিবার সকাল ১১টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। হাজিরা না দিলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, কয়লা পাচারের কালো টাকা বাজারে খাটাতেন রণধীর। এই সূত্রেই লালার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল তাঁর। শুধুমাত্র কয়লার কালো টাকা নয়, একাধিক রাজনীতিবিদ ও পুলিশ আধিকারিকের কাছে থাকা কালো টাকাও নাকি রণধীর বাজারে খাটিয়েছেন। তাঁর সমস্ত লেনদেন, ব্যাঙ্কের তথ্য, কোথায় টাকা খাটানো হয়েছে, তিনি কার কাছে কত টাকা নিয়েছেন প্রভৃতি তথ্য জানতে চায় সিবিআই। সেই জন্যই তাঁকে তলব করা হয়েছে।
শুক্রবার কলকাতা ছাড়াও আসানসোল ও দুর্গাপুরেও একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। অবশ্য সেখানে কী তথ্য পাওয়া গিয়েছে সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে গত মঙ্গলবার কয়লা পাচার কাণ্ডের সূত্র ধরে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলাকে জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। জেরা করা হয়েছে অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকেও। এই ঘটনার পর থেকেই রাজনৈতিক চাপানউতোর আরও বেশি শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আরও বেশি সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, নির্বাচন আসায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে মোদী সরকার। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিজেদের মতো তদন্ত করছে। তৃণমূল নেতারা যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সেটা সবার সামনে বেরিয়ে আসবে।