
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বেআইনি কয়লা পাচার কাণ্ডের সূত্র ধরে রবিবার দুপুরে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলাকে নোটিস দিতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গেছিল সিবিআই টিম। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সোমবার সিবিআইকে জবাব দেন রুজিরা। জানান, মঙ্গলবার তিনি সময় দিতে পারবেন সিবিআইকে। সেই মতো আজ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সিবিআই গোয়েন্দারা অভিষেকের কালীঘাটের বাড়ি শান্তিনিকেতনে যেতে পারেন।
রুজিরা সিবিআইকে চিঠিতে লেখেন, রবিবার যখন সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে নোটিস দিতে এসেছিলেন তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ি ফিরে সেই নোটিস তিনি পেয়েছেন।
রবিবার রুজিরার পাশাপাশি তাঁর বোন মেনকা গম্ভীরকেও নোটিস দিয়েছিল তদন্ত এজেন্সি। সোমবার ফের তাঁরা যান পঞ্চসায়রের আবাসনে। সিবিআই আধিকারিকরা আবাসনের দুয়ারে যেতেই তাঁদের গাড়ি আটকে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা চলে গোয়েন্দাদের সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের। তারপর গাড়ি বাইরে রেখে ভিতরে ঢোকে সিবিআই টিম। তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মেনকাকে। জানা গিয়েছে, দেশি-বিদেশি ব্যাঙ্কের বিভিন্ন তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই অভিষেকের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে রাজনৈতিক আক্রমণ, কটাক্ষ শুরু করেছে বিরোধীরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, “ও দিদিভাই, ও দিদিভাই, ঘরে ঢুকেছে সিবিআই!” অন্যদিকে গত একমাস যাবৎ শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলছিলেন ম্যাডাম নারুলাটা কে? নথি দেখিয়ে দাবি করেছিলেন কয়লা পাচারের মূল অভিযুক্ত লালার টাকা ম্যাডাম নারুলার ব্যাঙ্ক একাউন্টে যায়। সোমবার আবার তিনি বলেছেন, এবার লালার ডায়েরির কপি তিনি সামনে আনবেন।

তবে আজকে নজর থাকবে শান্তিনিকেতনের দিকে। কখন সিবিআই পৌঁছয় ১৮৮ এ হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে।