
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সেই কেশপুর!
বাম জমানায় পশ্চিম মেদিনীপুরের এই জনপদ ছিল খবরের শিরোনামে। উনিশের ভোটের ষষ্ঠ দফার সকাল থেকে উত্তপ্ত কেশপুর। যত সময় এগোচ্ছে, ততiই পারদ চড়ছে। সকালে একটি বুথে ভারতীকে ঘোষকে হেনস্থার পর সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ ভারতীর কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটল কেশপুরের দোগাছিয়ায়।
দোগাছিয়ার একটি বুথে তৃণমূল ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে অভিযোগ পেয়ে সেখানে যান ভারতী। কিন্তু বুথে পৌঁছনোর আগেই হাইওয়ের উপর ভারতীর কনভয়ের উপর তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। মাথা ফাটে ভারতীর নিরাপত্তারক্ষীর। তাঁকে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে যেতে হয়। একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। বাদ যায়নি সংবাদমাধ্যমের গাড়িও।
দফায় দফায় ইটবৃষ্টি চলতে থাকে দোগাছিয়ায়। হাইওয়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ভারতীকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালাতে হয় ভারতীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ-কে। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, ওই গুলিতেই আহত হয়েছেন তাদের এক কর্মী। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও গুলিতে আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে।
সকালবেলা কেশপুরের একটি বুথে ভারতীকে আটকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের মহিলা সমর্থকদের বিরুদ্ধে। জনা বিশেক মহিলা ঘিরে ধরেন ভারতীকে। স্পষ্ট বলতে থাকেন বুথ থেকে চলে যেতে। পাল্টা ভারতী বলতে গেলেই শুরু হয় বচসা। ধস্তাধস্তিতে মাটিতে পড়ে যান ভারতী। উঠে যায় পায়ের নখ। দোগাছিয়ার ঘটনার পর ভারতীর গাড়ি সিজ করে পুলিশ। কেশপুর কালী মন্দিরে ধর্ণায় বসে পড়েন বিজেপি প্রার্থী।
পঞ্চম দফায় যেমন সকাল থেকে শিরোনামে ছিল ব্যারাকপুর। শিরোনামে ছিলেন তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অর্জুন সিং, ঠিক তেমনই ষষ্ঠ দফায় ঘাটালের কেশপুর। শিরোনামে একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘জঙ্গলমহলের মা’ সম্বোধন করা বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ।