
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গতকাল বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আগামী দিনে সংক্রমণ বাড়বে। কিন্তু আপনারা আতঙ্কিত হবেন না।
বৃহস্পতিবার নবান্নে দীর্ঘ সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তা রুখতে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতালে আরও বেড বাড়ানোর। সেইসঙ্গে মমতা আরও জানান, বেশ কিছু হাসপাতালকে নতুন করে কোভিড চিকিৎসার জন্য সরকার অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা ইসলামিয়া হসপাতালটা পুরোটা নিয়ে নিচ্ছি। ওখানে শুধু কোভিডেরই চিকিৎসা হবে। পুরো সেট আপটাই ওখানে আছে। শুধু প্রস্তুত করতে কয়েকদিন লাগবে।” এছাড়াও শিয়ালদার কাছে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোডের উপর ডাক্তার আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজকেও কোভিড হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এনআরএস হাসপাতালেও ১১০টি বেড বাড়ানো হচ্ছে কোভিড চিকিৎসার জন্য।
বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গেও কথা বলেছি। ডিসান হাসপাতাল আমাদের জানিয়েছে ওরা আরও একটা বিল্ডিংয়ে কোভিড চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে। ওখানেও কিছু বেড বাড়বে। তা ছাড়া ঢাকুরিয়া আমরিকেও বলা হয়েছে তাড়াতাড়ি সব ব্যবস্থা করে ফেলতে। ওখানেও অনেক বেডের ব্যবস্থা হবে। এছাড়াও অনেক হাসপাতাল তাদের জায়গা অনুযায়ী বেড বাড়ানোর কাজ করবে।” মমতা জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে সাড়ে তিন হাজার-চার হাজার বেড বাড়বে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, সংক্রমণ ঝড়ের গতিতে বাড়ছে দেখেই সরকারকে এই ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। এখন চিকিৎসা ব্যবস্থার পরিসর বাড়ানো ছাড়া আর বিকল্প কোনও পথ নেই।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন ফের একবার দাবি করেন বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দেশের মধ্যে সেরা। তাঁর কথায়, “মানুষ সরকারি হাসপাতালে যাচ্ছে। তাই বেডের অভাব হচ্ছে। এটা ইতিবাচক। পরিষেবা ভাল বলেই মানুষ চিকিৎসা নিতে সেখানে যাচ্ছেন।” এ নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। তাঁদের বক্তব্য, ইছাপুরের শুভ্রজিত চট্টোপাধ্যায়, জয়নগরের অশোক রুইদাসদের মত তরতাজা তরুণদের বেঘোরে মৃত্যু দেখলেই মালুম হচ্ছে বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কেমন বেস্ট।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “আমরা কেউ ম্যাজিশিয়ান নই। হঠাৎ করে আকাশ থেকে কিছু পড়েনি। মনে রাখবেন, এখনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। চিকিৎসকরা আইসিএমআর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে চিকিৎসা করছেন। অনেক লোক ট্রিটমেন্ট পাচ্ছেন। প্রচুর লোক সুস্থও হচ্ছেন।”