
‘দিদি-মোদীর রাজনৈতিক ডিএনএ এক, দুজনেই স্বৈরাচারী’: ব্রিগেডে ‘ইনকিলাব’ স্লোগান অধীরের মুখে
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একটা সময় ছিল যে বার মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন অধীর চৌধুরী, অথচ শাসকের সন্ত্রাস ও পুলিশের অতি সক্রিয়তায় গা ঢাকা দিয়ে ঘুরতে হচ্ছিল তাঁকে।
রবিবাসরীয় ব্রিগেড মঞ্চে ওঠার আগে সেই স্মৃতি যেন ভাগীরথীর জলে ছুড়ে ফেললেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। বাংলায় সিপিএম ও কংগ্রেস- দুই জাতীয় দলের অস্তিত্ব যখন বিপন্ন তখন বোঝাতে চাইলেন, সংকটটা বৃহত্তর। দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ বিপদের মুখে পড়েছে। সেই বিপদ কাটাতে আরও উদার হয়ে জোটবদ্ধ লড়াই প্রয়োজন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবেই এদিন জয় হিন্দ ও ইনকিলাব জিন্দাবাদ স্লোগান তুলে বক্তৃতা শেষ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
রবিবার বাম, কংগ্রেস, আব্বাস সিদ্দিকির ব্রিগেডে এত মানুষের সমাবেশ যে হবে তা হয়তো নেতারাই আন্দাজ করতে পারেননি। ভিড় থেকে উজ্জীবিত হন লোকসভায় কংগ্রেস নেতাও। তিনি বলেন, “এত বড় সভায় বক্তৃতার সুযোগ আমার জীবনে এই প্রথম। যারা বোঝাতে চাইছিল,আগামী নির্বাচন হয়ে উঠবে শুধু বিজেপি আর তৃণমূলের লড়াই, এই সমাবেশ তাদের মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছে। আগামী দিনে তৃণমূল, বিজেপি থাকবে না, সংযুক্ত মোর্চা থাকবে”।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কথায়, বাংলায় দুটি দলের থেকেই বিপদ রয়েছে, বিজেপি আর তৃণমূল। এই দুই দল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু দিল্লিতে যেমন নরেন্দ্র মোদী বলছেন, কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়তে হবে। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাই করেছেন। বলছেন, বিরোধীশূন্য করে দিতে হবে। অর্থাৎ মোদী, দিদি দুজনের রাজনৈতিক ডিএনএ একই। দুজনেই স্বৈরাচারী। গণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় এসে যারা এভাবে গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরতে চাইছে, তাদের পরাস্ত করতেই হবে।
পেট্রল, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রসঙ্গেও এদিন কেন্দ্র-রাজ্য দুই সরকারকেই বিঁধতে চান অধীর। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী আর বিরাট কোহলির মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে- কে আগে সেঞ্চুরি করবেন। মোদী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন ব্যারেল প্রতি কাঁচা তেলের দাম ছিল ১০৮ ডলার। পেট্রলের দাম ছিল ৭১ টাকা। কাঁচা তেলের দাম কমে এখন ব্যারেল প্রতি ৬৫ ডলার হয়েছে। আর পেট্রলের দাম পৌঁছে গেছে ১০০ টাকায়।
ছত্তীসগড়ের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এদিন ব্রিগেডের সভায় উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে দেখিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ছত্তীসগড়ে পেট্রলের উপর ১২ টাকা আর ডিজেলের উপর ৪ টাকা ভ্যাট কমিয়েছে কংগ্রেস সরকার। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাত্র ১ টাকা ভ্যাট কমিয়েছেন। এতই যদি জনদরদী উনি হয়ে থাকেন, তা হলে মাত্র ১ টাকা কমালেন কেন!